ইন্টারনেটের দুনিয়ায় ঝড় তুলেছে ‘ডিপসিক’ নামের এক প্রযুক্তি। এই চীনা অ্যাপের হঠাৎই জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ঘুম উড়িয়েছে অনেক সংস্থার। বিশেষ করে মার্কিন এআই কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ডিপসিকের খরচের পার্থক্য নিয়েও আলোচনা চলছে।
বলা যায় চীনা কোম্পানি ডিপসিক সারা বিশ্বে হইচই ফেলে দিল। তাদের তৈরি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই চালিত চ্যাটবট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে মুক্তি পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই অ্যাপল স্টোরের সবচেয়ে বেশিবার ডাউনলোড করা ফ্রি অ্যাপের তালিকায় সবার ওপরে উঠে এসেছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে আবার সিলিকন ভ্যালির উদ্যোক্তা মার্ক আন্দ্রিসেন ডিপসিককে এআই দুনিয়ার ‘অন্যতম যুগান্তকারী আবিষ্কার’ হিসেবে চিহ্নিত করছেন। বিশ্ব বাজারে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে চীনা স্টার্ট-আপ ডিপসিক। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই) ক্ষেত্রে আমেরিকার একাধিপত্য ভেঙে দিয়েছে তারা। ফলে রক্তক্ষয় শুরু হয়েছে শেয়ার বাজারেও। এমনকি এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পও।
এবার ডিপসিকের ধাক্কায় একদিনে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডালারে ক্ষতি হল এনভিডিয়ার।
আরও পড়ুন: ডিপসিক কী, কেন এটি নিয়ে এত আলোচনা?
বিজ্ঞাপন
সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ‘ডিপসিক-আর১’ নামে চীনা স্টার্ট-আপ যে মডেল নিয়ে এসেছে, তার ফলে নিউ ইয়র্কে ১৭ শতাংশ পতনের মুখে পড়েছে মার্কিন সংস্থা। তার বাজারমূল্য ৫৮৯ বিলিয়ন ডলার কমে গিয়েছে। একদিনে এটাই সর্বোচ্চ।
উল্লেখ্য, মার্কিন সংস্থা এনভিডিয়া এআই বিপ্লবের মুখ বলে পরিচিত। সেই সংস্থা এমন জোরালো ধাক্কা খেল। চীনা স্টার্ট-আপ ডিপসিকের দাপাদাপিতে তারা এখন কোণঠাঁসা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই সস্তার চীনা এআই মডেল ডিপসিক বাজারে যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে তা দেখে মার্কিন সংস্থাগুলোর ঘুম ভাঙা উচিত।
এজেড