শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

জুমার দিন রোজা রাখলে সওয়াব কেমন?

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

জুমাবার মুসলমানদের কাছে একটি মর্যাদাপূর্ণ দিন। হাদিসে এই দিনকে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন ঘোষণা করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত’ (ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)। আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন।’ (ইবনে মাজাহ: ১০৯৮)

এই দিনের আরও বহু ফজিলত বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। তাই জুমাবার মুসলমানের কাছে খুবই মর্যাদাপূর্ণ একটি দিন। তবে, জুমার দিনে রোজা রাখার বিশেষ সওয়াবের কথা হাদিস শরিফে পাওয়া যায় না। আলেমদের মতে, জুমার দিন অন্যান্য দিনের মতো রোজা রাখা গেলেও শুধু জুমার দিনকে রোজা রাখার জন্য নির্দিষ্ট করা উচিত নয়। 


বিজ্ঞাপন


হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, জুমার দিন কেউ যেন রোজা পালন না করে। কিন্তু যদি কেউ জুমার দিনের আগে বা পরে একদিন রোজা পালন করে তাহলে সে জুমার দিন রোজা পালন করতে পারে। (মেশকাতুল মাসাবিহ: ১৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন: ২৫৫০)

আরও পড়ুন: যাদের জুমার নামাজের কোনো মূল্য নেই

এই হাদিস থেকে জানা যাচ্ছে— কোনো মুসলিমের জন্য এটা জায়েজ নয় যে সে অন্যান্য দিন বাদ দিয়ে শুধু শুক্রবারে রোজা রাখবে। 

প্রসঙ্গত, রোজা রাখার উত্তম দিন হচ্ছে, বৃহস্পতিবার ও সোমবার। সপ্তাহে এই দুদিন রোজা রাখা সুন্নত ও মোস্তাহাব। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (স.) সোম ও বৃহস্পতিবার দিন রোজা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’ (তিরমিজি; সহিহুত তারগিব: ১০২৭)


বিজ্ঞাপন


হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুল (স.) বলেন, ‘সোম ও বৃহস্পতিবার আল্লাহর কাছে বান্দার আমল পেশ করা হয়। তাই আমি পছন্দ করি যে, রোজা থাকা অবস্থায় যেন আমার আমলনামা আল্লাহর কাছে পেশ করা হয়।’ (তিরমিজি: ৭৪৭; সহিহুত তারগিব: ১০২৭)

সুতরাং নবীজির অনুসরণে সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার চেষ্টা করা উত্তম বান্দার বৈশিষ্ট্য; নির্দিষ্ট করে জুমাবার নয়। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমাবারের সকল আমল সুন্নত অনুযায়ী করার তাওফিক দান করুন। জুমাবারে রোজা রাখার বিধান জানার, বুঝার ও হাদিস অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন