দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ঢাকার কেরানীগঞ্জের ২৮৫টি ভবনে ৭ হাজার ৫০০টি পোশাক তৈরির কলকারখানায় প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার শিশু শ্রমিক কাজ করে। এরমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রমে নিয়োজিত রয়েছে প্রায় ২০ হাজার কর্মী। যাদের বয়স ৭ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাংলামোটরের বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশনের (বিএলএফ) পক্ষে থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
সভায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে রাজধানীর ঢাকার কেরানীগঞ্জের ক্ষুদ্র পোশাক কারখানায় কর্মরত ২০ হাজার শিশুর পুনর্বাসনের মাধ্যমে শিশু শ্রম নিরসনে সরকারের অনুমোদিত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে গণমাধ্যমসহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিএলএফের চেয়ারম্যান ও প্রবীণ শ্রমিক নেতা আব্দুস সালাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বিএলএফের মহাসচিব ও বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা জেড এম কামরুল আনাম, বাংলাদেশ কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক ডা. দীপাদত্ত, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বাংলা বিভাগের প্রধান রুহুল গণি জ্যোতি, লেবার রাইটস সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কাজী আব্দুল হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান প্রমুখ।
সভায় ঢাকার কেরানীগঞ্জের শিশু শ্রমিকের সার্বিক ভিডিও চিত্র ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএলএফ কর্মসূচি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান খান।
ঢাকার কেরানীগঞ্জের ৭ হাজার ৫০০ কলকারখানায় প্রায় ৩ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার শিশুশ্রমিক রয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ৪৮ শতাংশ শিশুশ্রমিক রয়েছে সেসব কলকারখানায়। ৯৫ ভাগ কারখানায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে শিশুরা কাজ করে। অভাব, বাবা-মায়ের অসচেতনতা, পরিবারের অবাধ্য হওয়া, পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি মারা যাওয়া, বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে অসহায় হয়ে পড়া শিশুরা তাদের লেখাপড়া ও খেলার বয়সে কলকারখানায় যুক্ত হয়ে পড়েছে। কেরানীগঞ্জের ২৮৫টি ভবনে এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ৫ জন থেকে ৫০ জন পর্যন্ত শিশু শ্রমিক এসব কলকারখানায় কাজ করে। এসব প্রতিষ্ঠানে কমরত শিশুরা ৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পায়।
বিজ্ঞাপন
কেআর/এইউ