শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

‘হামুন’ মোকাবিলায় উপকূলজুড়ে ব্যাপক প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৪৬ পিএম

শেয়ার করুন:

‘হামুন’ মোকাবিলায় উপকূলজুড়ে ব্যাপক প্রস্তুতি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুনের আতঙ্ক এখন উপকূলজুড়ে। সুপার সাইক্লোন সিডর, ঘূর্ণিঝড় আইলা, আম্পান ও মোখার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এবার উপকূলের মানুষের মধ্যে ‘হামুন’ আতঙ্ক বিরাজ করছে। হামুন প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ায় অজানা আশঙ্কায় দিন গুনছেন তারা। উপকূলে কীভাবে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি- তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি মোকাবিলায় উপকূলজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

সর্বশেষ বুলেটিনে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুন পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে একই এলাকায় (২০.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

তেজ কমেছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুনের’, রাতেই উপকূল পাড়ি

প্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুন আরও পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আজ রাত নাগাদ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার বা তার বেশি) বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।

বর্তমানে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রর নিকটে সাগর বিক্ষুব্ধ অবস্থায় রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উপকূলীয় ১০ জেলার ঝূঁকিপূর্ণ এলাকার প্রায় ১৫ লাখ বাসিন্দাকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। রাত ৮টার মধ্যে তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


ministerদুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে। এসব জেলার ১৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে।

এনামুর রহমান বলেন, ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দিলে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়া আছে। সে অনুযায়ী এই মুহূর্ত থেকে আমাদের মাঠ প্রশাসনের এবং স্বেচ্ছাসেবকরা দুর্গত লোকদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া শুরু করবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ, গতিবেগ ও চরিত্র বিশ্লেষণ করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি- মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে এটি উপকূলীয় অঞ্চল অতিক্রম করবে। সেজন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে যেন আশ্রয়কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের নিয়ে যাওয়া হয়।

ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন উপকূলীয় ১০টি জেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মঙ্গলবারের সরকারি ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

আরও পড়ুন

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’: সারাদেশে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা

আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, আমাদের মাঠপ্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবীরা সেখানে কাজ করছেন। সেখানে রান্না করা খাবার ও সুপেয় পানি, শিশুদের খাবার ও গো-খাদ্য দেওয়ার জন্য আমরা এরই মধ্যে অর্থ বরাদ্দ করেছি।

উপকূলীয় এলাকায় নানা প্রস্তুতি

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ সরাসরি সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত না হানার সম্ভাবনা না থাকলেও এর প্রভাবে ৩ থেকে ৪ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে দুর্বল উপকূল রক্ষা বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন উপকূলবাসী।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি, বেশিরভাগ স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধগুলো মেরামত করা হয়েছে। দুর্যোগকালীন কোথাও বাঁধ ভেঙে গেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেটি মেরামত করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তার হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবিলায় শ্যামনগর উপজেলার ১৬৩টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত শুকনা খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, মেডিকেল টিম, স্বেচ্ছাসেবক টিমকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধগুলো সংস্কারের কাজ চলমান।

চট্টগ্রাম

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবিলায় চট্টগ্রামে ৬০৯ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার মানুষকে সেখানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জানান, হামুনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উপকূলীয় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিতে পারেন এবং উপকূল এলাকা থেকে মানুষ যাতে সরে যায় সেজন্য মাইকিং করা হচ্ছে।' এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নাম্বার ০২৩৩৩৩৫৭৫৪৫-এ যোগাযোগ করার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

hamun-1নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্যমতে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৬০৯টি আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও চট্টগ্রামে দুই হাজার ২৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং এক হাজার ২৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৩৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্র ইতোমধ্যে খোলা হয়েছে। সেখানে উপকূলীয় এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে মাইকিং করা হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর মধ্যে মিরসরাইয়ে ৭৬টি, সীতাকুণ্ডে ৫৯টি, আনোয়ারায় ৬টি, কর্ণফুলী উপজেলায় ১৭টি, বাঁশখালী উপজেলায় ১১০টি এবং সন্দ্বীপ উপজেলায় ৮৬টি।

চট্টগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সাইফুল্লাহ মজুমদার বলেন, আমাদের আশ্রয় কেন্দ্রগুলো খোলা আছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে, যাতে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসতে পারে। একইসঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবকরা উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনতে কাজ করছে।'

 

আরও পড়ুন

১৫ লাখ মানুষকে নেওয়া হচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্রে

ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি বৈঠকে বসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এর আগে চসিকের আওতাধীন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছাড়তে ৫টি গাড়িতে মাইকিং শুরু করেছে চসিক।

 

বরগুনা

হামুনের প্রভাবে উপকুলীয় অঞ্চল বরগুনায় গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। দিনভর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে হামুন মোকাবিলায় নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা, শুকনো খাবার প্রস্তুত ও মাইকিং করা হয়েছে।

দিনভর জেলায় সূর্যের দেখা মেলেনি। উপকূলীয় এলাকার জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করলেও কেউ নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি বলে জানান সিপিপির টিম লিডার মো. জাকির হোসেন মিরাজ।

hamun-borgunaবরগুনা জেলা প্রশাসক মুহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, জেলায় ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রায় তিন লাখ মানুষ এতে আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়া ৪৩০ মেট্রিকটন চাল এবং সাড়ে ছয় লাখ টাকা মজুদ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পূর্ব এবং পরবর্তী উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। খোলা হয়েছে ৭টি কন্ট্রোল রুম।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, রাত ৮টার মধ্যে জেলার সর্বস্তরের মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। একজন মানুষও ঘূর্ণিঝড়ে আশ্রয়হীন থাকবে না, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

ঝালকাঠি

ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রস্তুতি নিয়েছে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের জরুরি সভা হয়। সভায় জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৭টি কন্ট্রোলরুম, ৫৯ সাইক্লোন সেল্টার, ৩৭টি মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিসের তিনটি উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া নগদ ৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা, ৩৫০ মেট্রিক টন ত্রাণের চাল বিতরণের জন্য মজুদ আছে। পাশাপাশি শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও স্বেচ্ছাসেবক টিমও প্রস্তুত রয়েছে। 

কক্সবাজার

হামুনের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত উত্তাল রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নানা প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সমুদ্রসৈকতে আগত পর্যটকদের সাগরে নামতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে সোমবার রাত থেকে কক্সবাজার ও উপকূল এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবার কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতিতেও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এসেছে প্রচুর পর্যটক। প্রতি বছর বিজয়া দশমীতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দেশের সর্ববৃহৎ বিসর্জন হয়ে থাকে। এবারও বড় পরিসরে সৈকত তীরে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হয়েছে। সেটি দেখতে সৈকতে সমাগম হয় প্রচুর পর্যটক। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ সংকেত জারি হওয়ায় পর্যটক ও অন্যান্যরা সৈকতে নামতে পারছেন না। তারপরও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা ও বিরূপ আবহাওয়া উড়িয়ে দিয়ে কিছু পর্যটককে সৈকতে নামতে দেখা গেছে।

hamun-coxs

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিপদ সংকেতের অংশ হিসেবে সৈকতে পর্যটকদের সতর্ক করে মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া সৈকতে দায়িত্বরত লাইফগার্ড কর্মীরা পর্যটকদের নিরাপদে থাকতে মাইকিং করছেন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, উপকূলীয় এলাকার আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এছাড়াও কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। 

প্রতিনিধি/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর