সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে গাছ ভেঙে পড়ায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তীব্র ঝড়ে মহাসড়কের পাশের অনেক গাছ ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধসহ মোবাইল নেটওয়ার্কেও জটিলতা দেখা দিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কক্সবাজার জেলার বাসিন্দারা।
জানা গেছে, সন্ধ্যা সাতটার দিকে হামুনের প্রভাবে ঝড়ো বাতাস বইতে শুরু করে কক্সবাজারে। তীব্র বাতাসে সড়কের উভয় পাশের ব্যাংক-বিমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ছোট-বড় সাইনবোর্ড উড়ে যায়। বিভিন্ন স্থান থেকে টিনসহ হালকা পণ্যগুলো উড়ে একস্থান থেকে অন্যস্থানে সরে যায়। একের পর এক ভেঙে পড়ে গাছের ডালপালা। শহরের অনেক উপসড়কেও গাছ ভেঙে পড়ে জন চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ঝড়ো বৃষ্টি শুরুর পর থেকেই বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
বিজ্ঞাপন
ঝড়ের পর কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাংলাবাজার এলাকায় অনেক গাছ ভেঙে পড়ে। এর ফলে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহন আটকা পড়ে। এতে কক্সবাজারের সঙ্গে চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।
বিজ্ঞাপন
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজার বিমানবন্দরে সব ফ্লাইটের ওঠানামা বন্ধ করা হয়েছে। আগামীকাল দুপুর ২টা পর্যন্ত এই বিমানবন্দরে কোনো বিমান ওঠানামা করবে না।
রাত নয়টার দিকে কক্সবাজার সদর উপকূলে বাতাসের গতিবেগ কমতে শুরু করলেও মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় ক্রমাগত বাতাসের বেগ।
মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি তারেক শরীফ বলেন, ঝড়ো হাওয়ায় অসংখ্য ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং গাছপালা ভেঙে গেছে। মহেশখালীতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ জানান , যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে মনে হচ্ছে হামুন কক্সবাজার অতিক্রম করছে। তীব্র বাতাসের ফলে বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে পড়ে কয়েকটি সড়কে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বেশ কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিদ্যুৎ বন্ধসহ মোবাইল নেটওয়ার্কের জটিলতাও দেখা দিয়েছে। তাণ্ডব শেষ হলে বুধবার দিনের বেলা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে সঠিক জানা যাবে।
প্রতিনিধি/এমআর