শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

কোন কোন জেলায় প্রভাব ফেলবে ‘হামুন’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১৯ পিএম

শেয়ার করুন:

কোন কোন জেলায় প্রভাব ফেলবে ‘হামুন’
উপকূলীয় এলাকায় সতর্কতা জারি। (ফাইল ছবি)

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ায় সতর্ক সংকেত বাড়িয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ঘূর্ণিঝড়টি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি উপকূলীয় জেলায় প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এজন্য চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়ার ১০ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ সাত নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।


বিজ্ঞাপন


প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

আরও পড়ুন: হামুন: চট্টগ্রাম ও পায়রায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত

এছাড়া ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী (১৮৯ মিমি) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে 8৪৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।


বিজ্ঞাপন


RRR33

এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আগামীকাল (২৫ অক্টোবর ২০২৩) সকাল থেকে দুপুর নাগাদ ভোলার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮১ মি.মি.) থেকে অতিভারী (৯ ৮৯ মি.মি.) বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে।

আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ‘হামুন’, কতটা প্রভাব ফেলবে ঘূর্ণিঝড়টি?

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এদিকে উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। রাত থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সাগর উত্তাল রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করে স্থানীয়দের সতর্ক করছেন কোস্টগার্ড সদস্যরা। সেন্টমার্টিনে অবস্থানরত সব পর্যটককে তিনটি জাহাজে করে টেকনাফে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে সেন্টমার্টিন অভিমুখে জাহাজসহ সবধরনের নৌচলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর