নোয়াখালী বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবিলায় ৪৮৫ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে জরুরি ত্রাণ ও দুর্যোগ কমিটির বৈঠকে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ ক্রমেই উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। এর প্রভাবে নোয়াখালী ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। আজ সকাল থেকে জেলার উপকূলসহ বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিসহ দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া সূবর্ণচর ও সমুদ্র তীরবর্তী কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট, উপজেলার উপকূলীয় চরাঞ্চল থেকে সব মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, জেলা সদরে কন্ট্রোল রুম খোলার পাশাপশি পাঁচ উপজেলার ৪৮৫ আশ্রয়কেন্দ্র ৩ লাখ ৪৮ হাজার উপকূলীয় এলাকার লোকজন আশ্রয় নিতে পারবে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর মধ্যে নোয়াখালী সদরের ৩৬, হাতিয়ায় ২৫৮টি, সুবর্ণচর ১২৯টি, কোম্পানীগঞ্জ ৪৯টি ও কবিরাটে ১৩টি রয়েছে। দুর্যোগ প্রবণ এলাকার জন্য নগদ ৯ লাখ টাকা ও চালসহ বিশুদ্ধ পানি মজুদ করা হয়েছে। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্টের ৮৩৮০ জন স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে, হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকি জানান, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিপিপি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় উপকূলের মানুষকে নিরাপদে সরে আসার জন্য বিভিন্ন স্থানে ও মসজিদে মাইকিং করা হচ্ছে। পাশাপাশি দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য দুপুর ১টায় প্রস্তুতি সভার আহবান করা হয়েছে ।
অন্যদিকে, জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উপকূলীয় চরাঞ্চলেও একই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
টিবি