শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় নোয়াখালীতে প্রস্তুত ৪৮৫ আশ্রয়কেন্দ্র

জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ০১:১৭ পিএম

শেয়ার করুন:

ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় নোয়াখালীতে প্রস্তুত ৪৮৫ আশ্রয়কেন্দ্র
ফাইল ফটো

নোয়াখালী বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবিলায় ৪৮৫ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে জরুরি ত্রাণ ও দুর্যোগ কমিটির বৈঠকে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ ক্রমেই উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। এর প্রভাবে নোয়াখালী ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। আজ সকাল থেকে জেলার উপকূলসহ বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিসহ দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া সূবর্ণচর ও সমুদ্র তীরবর্তী কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট, উপজেলার উপকূলীয় চরাঞ্চল থেকে সব মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, জেলা সদরে কন্ট্রোল রুম খোলার পাশাপশি পাঁচ উপজেলার ৪৮৫ আশ্রয়কেন্দ্র ৩ লাখ ৪৮ হাজার উপকূলীয় এলাকার লোকজন আশ্রয় নিতে পারবে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর মধ্যে নোয়াখালী সদরের ৩৬, হাতিয়ায় ২৫৮টি, সুবর্ণচর ১২৯টি, কোম্পানীগঞ্জ ৪৯টি ও কবিরাটে ১৩টি রয়েছে। দুর্যোগ প্রবণ এলাকার জন্য নগদ ৯ লাখ টাকা ও চালসহ বিশুদ্ধ পানি মজুদ করা হয়েছে। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্টের ৮৩৮০ জন স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে, হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকি জানান, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিপিপি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় উপকূলের মানুষকে নিরাপদে সরে আসার জন্য বিভিন্ন স্থানে ও মসজিদে মাইকিং করা হচ্ছে। পাশাপাশি দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য দুপুর ১টায় প্রস্তুতি সভার আহবান করা হয়েছে ।

অন্যদিকে, জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উপকূলীয় চরাঞ্চলেও একই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর