শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

Prescription

শীত পড়তেই বাড়ছে পিঠ ব্যথা, মেরুদণ্ডের যত্নে করণীয় 

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৯ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

শীত এলেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে রাহেলা খাতুনের। তাপমাত্রা একটু কমতে শুরু করলেই বাড়তে শুরু করে পিঠ আর কোমর ব্যথা। সময়ের সঙ্গে তা আরও বাড়তে থাকে। কেবল রাহেলা নন, শীতকালীন ব্যথায় ভোগেন অনেকেই। আসলে তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে ব্যথা-বেদনা। 

শীতে কেন ব্যথা বাড়ে? 


বিজ্ঞাপন


শীতে আলসেমি লাগে। শরীরচর্চা করতে ইচ্ছে করে না। সহজেই চোট বা আঘাত লাগার আশঙ্কা বাড়তে থাকে। বিশেষজ্ঞের মতে, তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ডে ব্যথা বা চোট-আঘাত লেগে যাওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। মূলত শারীরিক সক্রিয়তার অভাবেই এই ধরনের সমস্যা হয়। 

pain1

অন্য সময়ে সকালে উঠে অল্প হলেও হাত-পা নাড়াচাড়া করা হয়। কিন্তু ঠান্ডার সময় সেটুকুও করতে ইচ্ছে করে না। জড়সড় হয়ে বসে থাকতে ইচ্ছে হয়। দীর্ঘক্ষণ একভাবে বসে বা শুয়ে থাকার কারণে দিন দিন মেরুদণ্ডের ব্যথা বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন-
 
 

ব্যায়ামের অভাবে কীভাবে মেরুদণ্ডের ক্ষতি হয়?

ঠান্ডা আবহাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই দেহের পেশি, অস্থিসন্ধি কিংবা লিগামেন্টের নমনীয়তা নষ্ট হয়। পিঠের পেশি, ইন্টারভার্টিব্রাল ডিস্ক শক্ত হয়ে গেলে হ্রাস পায় শিরদাঁড়া বা মেরুদণ্ডের নমনীয়তা। ফলে ব্যথা তো বটেই, বাড়ে চোট-আঘাত লাগার সম্ভাবনাও। 

pain2

বসা বা শোয়ার ভঙ্গির দোষেও অনেকসময় মেরুদণ্ডে চোট লাগতে পারে। শিরদাঁড়ার পেশি, স্পাইনাল ডিস্কে অকারণে চাপ পড়লে ব্যথা বেড়ে যায়। শীতকালে এটি ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

আরও পড়ুন-
 
 

অনেকসময় রক্ত চলাচল স্বাভাবিক না হলে স্পাইনাল কর্ডে সমস্যা দেখা দিতে পারে। যা পিঠে ব্যথার কারণ হয়।

pain3

শীতে মেরুদণ্ডের যত্ন নেবেন যেভাবে 

ঠান্ডার কারণে বাইরে বের হতে না পারলেও সমস্যা নেই। বাড়িতে এমন কিছু কাজ করুন যাতে শারীরিক কসরত হয়।

আরও পড়ুন-
 
 

মেরুদণ্ড টান টান করে বসার চেষ্টা করুন। দীর্ঘক্ষণ পেট মুড়ে কিংবা ঝুঁকে বসলে পিঠের ব্যথা বাড়ে। অনেকক্ষণ বসে কাজ করতে হলে মেরুদণ্ড সোজা রেখে বসুন। 

pain4

একটানা বসে কিংবা দাঁড়িয়ে থাকলেও মেরুদণ্ডের নমনীয়তা নষ্ট হয়। তাই প্রতি আধ ঘণ্টা অন্তর একটু হাঁটাহাঁটি করতে চেষ্টা করুন। এতে সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 

এরপরও মেরুদণ্ডে ব্যথা হলে গরম সেঁক দিন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। 

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন