শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান প্রোটিন। মাংসপেশি, ত্বক, চুল সবকিছুর জন্যই এটি দরকার। হাড়, ত্বক আর চুল তৈরি এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে প্রোটিন। অনেকেই মনে করেন কেবল আমিষ খাবারই প্রোটিনের উৎস। এই ধারণা কিন্তু ঠিক নয়। কিছু নিরামিষ খাবারও প্রোটিনের দারুণ উৎস হতে পারে।
মাছ-মাংসের বাইরে কোন খাবারগুলো প্রোটিনের উৎস হতে পারে, চলুন জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন

দুগ্ধজাত খাবার
প্রোটিনের দারুণ উৎস হলো- দুধ, দই, পনির, বাটারমিল্ক এবং টোফুর মতো দুগ্ধজাত পণ্য। তাই দেহের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে রোজকার খাদ্যতালিকায় এসব খাবার যোগ করতে পারেন। এসব দুগ্ধজাত খাবারে প্রোটিন ছাড়াও, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি১২, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, ফসফরাসের মতো পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।
সয়াবিন
বিজ্ঞাপন
প্রোটিনের একটি ভালো উৎস সয়াবিন। বিভিন্নভাবে এটি খাওয়া যেতে পারে। তাই প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে সয়াবিন খেতে পারেন।

শুঁটি জাতীয় খাবার ও ডাল
উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস ডাল জাতীয় খাবার। এক কাপ রান্না করা মুসুর ডালে ৯ থেকে ১১ গ্রাম প্রোটিন থাকে। মটরশুঁটিও প্রোটিনের দারুণ উৎস। প্রতিদিনের খাবারে এই খাবারগুলো খেতে পারেন।
কিনোয়া
উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস কিনোয়া। এতে নয়টি অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে যা এটিকে একটি সম্পূর্ণ প্রোটিনের ভান্ডার করে তোলে। এক কাপ রান্না করা কিনোয়াতে ৫ গ্রাম ফাইবার থাকে। এছাড়াও এতে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, আয়রন, থায়ামিন এবং ফোলেট রয়েছে। সিলিয়াক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য কিংবা গ্লুটেন অসহিষ্ণুতা আছে এমন ব্যক্তিদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত শস্য।
এনএম

