প্রকৃতির পালাবদলে শীত আসছে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে দেশবাসী শীত যাপনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শীতের কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে কী করবেন সেটাই ভাবছেন। বাসা-বাড়ির রুম গরম করতে হিটারের বিকল্প নেই। কিন্তু সবার কাছে এই বৈদ্যুতিক যন্ত্র নেই। তাছাড়া রুম হিটার চালালে প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাহলে উপায়? উপায় আছে। বিস্তারিত জানুন এই প্রতিবেদনে।
আর হাড়কাঁপানো ঠান্ডা থেকে বাঁচার জন্য ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। যার ফলে গিজার, হিটার এবং ব্লোয়ারের মতো বৈদ্যুতিক সামগ্রী কেনার জন্য ভিড় বাড়তে শুরু করেছে দোকানগুলৈাতে। আসলে এখন গিজার, হিটার এবং ব্লোয়ারের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: এসি শীতকালে ঢেকে রাখা কি ভালো?
যদিও এই ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জামে প্রচুর শক্তি ব্যবহৃত হয়। যার ফলে ইলেকট্রিক বিলের উপর চাপও পড়ে বেশ ভালোই। আবার হিটার চালানোর ঝুঁকি এবং অপকারিতাও রয়েছে। তাই কেবল হিটার কিংবা ব্লোয়ার চালিয়েই যে ঘর গরম রাখা যায়, এই ধারণা একেবারেই ভুল। কারণ এমন অনেক সরঞ্জাম রয়েছে, যা ব্যবহার করে অনায়াসে ঘর গরম রাখা সম্ভব। সেই সব সরঞ্জামের তালিকাটাই দেখে নেওয়া যাক।
ওয়ার্ম লাইট: ঘর গরম রাখার জন্য ভালো বিকল্প হতে পারে ওয়ার্ম আলো। এই পরিস্থিতিতে জোরালো আলো অথবা মোমবাতির আলোও ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ধরনের আলো ঘরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। আর উজ্জ্বল আলোও ঘর গরম রাখতে সাহায্য করে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: লেপ তৈরিতে কেন লাল কাপড়ই ব্যবহার করা হয়?
বাবল র্যাপের ব্যবহার: শীতের মৌসুমে গ্রিনহাউজের জানলা ইনস্যুলেট করার জন্য বাবল র্যাপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটা জানলার শেড ইনস্যুলেট করার জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে ঘরের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। শীতকালে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচার জন্য মেঝের উপর মোটা কার্পেট বিছিয়ে দিতে হবে এবং জানলা-দরজায় ভারী পর্দা লাগাতে হবে। এতে ঠান্ডা ঘরে প্রবেশ করতে বাধা পায়। সেই সঙ্গে ঘর গরমও থাকবে এবং ঘরদোর দেখতেও ভালো লাগবে।
ওয়ার্ম বেডশিট: শীতকালে মৌসুমী সুতির বিছানার চাদর না ব্যবহার করাই ভালো। তার পরিবর্তে বরং বিছানা গরম রাখার জন্য ওয়ার্ম বেডশিট ব্যবহার করা যেতে পারে। এটা বিছানার তাপমাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি ঠান্ডার দিনে ঘর এবং বিছানা গরম রাখার জন্য হট ওয়াটার ব্যাগও ব্যবহার করা যেতে পারে।
এজেড