শীত এসে গেল বুঝি। শীতকালে এসি চালানোর প্রয়োজন নেই। মাস তিনেক মোটামুটি বন্ধই থাকে। ব্যবহার না হওয়ায় ধুলা ময়লাও পড়ে বিস্তর। তাই অনেকেই ঢেকে রাখেন। গরমে আবার চালাতে হবে। তখন যেন গড়বড় না করে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসি ঢেকে রাখলে উপকারের চেয়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: শীতে বন্ধ থাকবে এসি, প্যাক করে রাখার আগে এই কাজগুলো করুন
এসি সিস্টেমে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে। যেমন কনপ্রেসার, ইউনিটে রেফ্রিজারেন্ট পাম্প করে। এছাড়া কনডেন্সার কয়েলসও গুরুত্বপূর্ণ, এটা তাপ বের করে দেয়। আবার ইভাপোরেটর কয়েলস ভিতরের বাতাসকে ঠান্ডা করে। এই অংশগুলো অ্যালুমিনিয়াম বা গ্যালভানাইজড স্টিলের মতো অত্যন্ত শক্তিশালী উপাদান দিয়ে তৈরি। ঠান্ডা এবং মরচের হাত থেকে রক্ষা করে।
শীতকালে এসি ঢেকে রাখার সুবিধা এবং অসুবিধা
ধুলা, বালির হাত থেকে বাঁচাতেই এসি-এর ইন্ডোর এবং আউটডোর ঢেকে রাখা হয়। এটাই মূল কারণ। যাতে ময়লা পড়ে মেশিন খারাপ না হয়ে যায়। কার্যক্ষমতা একই রকম থাকে। কিন্তু ঢেকে রেখে লাভের লাভ কিছু হয় না। বিশেষ করে আউটডোর ইউনিট।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: এসির পানি কি খাওয়া যায়?
কী সমস্যা হতে পারে: স্বাভাবিক বুদ্ধিতে এসি-এর আউটডোর ইউনিট ঢেকে রাখলে উপকার হবে বলেই মনে হতে পারে। কিন্তু একটু খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, এর ফলে আর্দ্রতা বেরতে পারবে না। জমতে থাকবে। ফলে মরচে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যাবে। এছাড়াও এসি কভার ইঁদুর ও পোকামাকড়ের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠতে পারে। আর ইঁদুর বাসা বাঁধলে সবার আগে যাবে তার। অন্যান্য অংশেরও ক্ষতি হতে পারে।
বিকল্প ব্যবস্থা কী করা যেতে পারে
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলেন, শীতে এসি ইউনিট ঢেকে না রেখে বিকল্প কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। সেগুলো হল – সবার আগে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে। এর সঙ্গে চাই নিয়মিত দেখভাল। অর্থাৎ পরিস্কার করতে হবে। পাতা বা ধুলো ময়লা পড়লে ঝেড়ে দেওয়াই উচিত। বাইরের অংশে সুরক্ষামূলক শিল্ড লাগানো যায়। যাতে সরাসরি হাত দেওয়া না যায়। আর নিয়মিত সার্ভিসিং তো অবশ্যই করাতে হবে।
শীতে এসি-এর যত্ন নেওয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ
এসির যথাযথ যত্ন নিলে আয়ু বাড়বে, কার্যক্ষমতা বজায় থাকবে। বারবার খারাপ হবে না। ফলে মেরামতির খরচও কমবে। তাই ঢেকে রাখার বদলে এসিকে খোলা এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে এসি ভাল থাকবে, দীর্ঘদিন চলবেও।
এজেড