প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দোপাধ্যায়ের ‘বিষাক্ত প্রেম’ ও ‘সুবালা’ শিরোনামের দুটি ছোটগল্প একত্রিত করে ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী নির্মাণ করেছেন ‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমা। এজন্য তিনি বেছে নিয়েছিলেন দুই বাংলার গুণী অভিনয়শিল্পীদের।
বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবিটির কর্মযজ্ঞ শুরু হয়ছিল ২০১৮ সালের নভেম্বরে। নির্মাণের সময় যৌথ প্রযোজনার এ ছবিটির প্রচারণায় কোনো খামতি রাখেননি প্রযোজক জসীম উদ্দিন। নিজের খরচে কলকাতার শুটিংয়ে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন এখানকার কয়েকজন সাংবাদিককে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে লাভের মুখ দেখেনি কোনো সিনেমা
যথা সময়ে ছবির কাজ শেষ হওয়ার পরও মুক্তি পেতে সময় লাগল চার বছর। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দেশের ১৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। পাশাপাশি একইদিনে পশ্চিমবঙ্গেও মুক্তি পেয়েছে এটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের কোনো সিনেপ্লেক্স বা সিঙ্গেল স্ক্রিনে ‘মায়ার জঞ্জাল’ দেখতে দর্শকের ভিড় হয়নি। স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রথমদিন দর্শক সংখ্যা গড়পড়তা ছিল। আমরা যতটা আশা করেছিলাম ততটা পাইনি। ছবিটিতে দুই বাংলার জনপ্রিয় সব অভিনয়শিল্পী আছেন। তা ছাড়া এ ছবিতে অপি করিম আছেন। ভেবেছিলাম এসব কারণে দর্শক বেশি হবে। কিন্তু আশানুরূপ দর্শক পাইনি।’
বিজ্ঞাপন
দর্শক না পাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ছবিটি বাণিজ্যিক ঘরানার না। প্রচারণায় কিছু ঘাটতি রয়েছে বলে মনে হয় আমার। পাশাপাশি বইমেলা চলছে। এসব কারণে দর্শক সমাগম কম হচ্ছে সম্ভবত। তবে আমি মনে করি প্রচারণা চালালে দর্শক ছবিটি দেখতে হলে আসবেন। কেননা, এটি একটি ভালো ছবি।’
একই সুরে কথা বললেন কেরানিগঞ্জের লায়ন সিনেমাসের সহকারী ব্যবস্থাপক (অপারেশন) হাসিব-উর-রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা আশানুরূপ দর্শক পাইনি প্রথম দিন। তবে ছবিটির একটি সম্ভাবনা রয়েছে। এটি একটি ভালো ছবি। দুই বাংলার গুণী সব আর্টিস্ট রয়েছেন। যদি প্রয়োজনীয় প্রচারণা চালানো হয় তবে এ ছবি ভালো করবে বলে আশাবাদী আমি।’
চট্টগ্রামের সুগন্ধা সিনেমা হলেরও একই অবস্থা। হলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফ হোসাইন বলেন, ‘দর্শক তেমন একটা নেই। প্রথম দিন প্রতি শোয়ে সাত/আট জন করে দর্শক ছিলেন। আজকের প্রথম শোয়েও একই অবস্থা দেখে এসেছি।’
আরও পড়ুন: ঈশ্বর যেন আমাদের প্রতি দয়াপরবশ হন: কুমার বিশ্বজিৎ
খুলনার দর্শকও ‘মায়ার জঞ্জাল’-এর মায়ায় আকৃষ্ট হননি। সিনেমা হলের ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম বলেন, ‘ভালো একটা ছবি কিন্তু দর্শক তেমন নেই। হাতে গোনা কয়েকজন। আজকের খবর এখনও নেইনি তবে গতকাল প্রতি শোয়েই ছয়-সাত জন করে দর্শক ছিল। একটা সপ্তাহ দেখা যাক। যদি ভালো করে তাহলে ছবিটি আরও চালাব।’
ভাগ্যাহত স্বপ্নবাজ কয়েকজন মানুষের বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প তুলে ধরা হয়েছে ‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমায়। প্রেক্ষাগৃহের আসার আগেই আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে ছবিটি।
এই ছবির মাধ্য দীর্ঘ বিরতির পর বড়পর্দায় ফিরেছেন অপি করিম। তার সঙ্গে পর্দা ভাগ করেছেন টলিউডের ঋত্বিক চক্রবর্তী। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, চান্দ্রেয়ী, সোহেল মণ্ডল প্রমুখ।
আরআর/আরএসও