খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ৩ মেয়র প্রার্থীসহ ৯২ কাউন্সিলর প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। এর মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডের ১৪৮ প্রার্থীর মধ্যে ৭৮ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৩৯ জন প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারাচ্ছেন ১৪ প্রার্থী। কেসিসির নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণ শেষে এ তথ্য পাওয়া গেছে। জামানত হারানো প্রার্থীদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের ২৬ জন, জাতীয় পার্টির ১৩ জন ও জামায়াতের দু’জন প্রার্থী রয়েছেন। বাকিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী।
কেসিসি নির্বাচনে এবার মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন ৫ জন। মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক পেয়েছেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫১ ভোট। বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ২৫১ ভোট। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩৬৩ ভোট। জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক পেয়েছেন ১ হাজার ৭২ ভোট আর বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান বাবু পেয়েছেন ৫৩৪ ভোট। এদের মধ্যে খালেক ও মঞ্জু বাদে বাকি তিনজনই জামানত হারিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালার ৪৪(৩) ধারা অনুযায়ী, প্রদত্ত ভোটের এক-অষ্টমাংশের কম ভোট পেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। জামানত হিসেবে মেয়র পদে ২০ হাজার টাকা, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০ হাজার টাকা এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হবে। সে হিসাবে ৩ মেয়র প্রার্থী, ১৪ সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ৭৮ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর জামানত হিসেবে মোট ৬ লাখ টাকা জমা হচ্ছে সরকারের কোষাগারে।
সংরক্ষিত ওয়ার্ডে জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন- ২নং ওয়ার্ডে পারভীন আক্তার। তিনি পান ১ হাজার ৭০২ ভোট। ৩নং ওয়ার্ডে আফরোজা আক্তার (২৫০ ভোট), আরিফা আলম (১২৩২ ভোট), মোসা. ছাবিনা আক্তার (৮৪৩ ভোট)। ৪নং ওয়ার্ডে খাদিজা সুলতানা (২১০৯ ভোট), ৭নং ওয়ার্ডে মনোয়ারা সুলতানা কাকলী (১৮৪৩ ভোট), ৯নং ওয়ার্ডে শাহানুর বেগম (৩৭৭ ভোট) ও কোহিনুর আক্তার (৩২৩০ ভোট) জামানত হারিয়েছেন। এছাড়া ১০নং ওয়ার্ডে বিলকিস আরা বুলি, মিসেস রোকসানা কালাম লিলি, মোসা. হোসনে আরা, সাহানা পারভীন, হাসিনা আকরাম ও হোসনে আরা বেগম চাঁদনী জামানত হারাচ্ছেন।
এদিকে সাধারণ কাউন্সিলর পদে যাদের জামানত থাকছে না তারা হলেন- ১নং ওয়ার্ডে মো. জাহাঙ্গীর লস্কর (৪৪ ভোট), মো. মহিউদ্দিন (৩৩১ ভোট), মো. শাহজাহান সিরাজ (৩১ ভোট), মোসা. রোজিনা ইসলাম রিজিয়া (১৬৩ ভোট), ২নং ওয়ার্ডে আ. রহমান মোল্লা (৩৩৮ ভোট) ও মো. শাকিল আহমেদ (২৪২ ভোট), ৩নং ওয়ার্ডে মো. শাহ আলম মীর (২৪৯ ভোট) ও সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া (৮৮০ ভোট), ৪নং ওয়ার্ডে মো. আফজাল হোসেন (৮১ ভোট), আবু আসলাত মোড়ল (৬৬ ভোট), ইকবাল গাজী (৩৬ ভোট), জাহাঙ্গীর আলম (২৯৯ ভোট), ৫নং ওয়ার্ডে এসএম হুমায়ুন কবির (২৮৮ ভোট), মো. নাজমুল শিকদার (২০৬ ভোট) ও মো. হারুন-অর রশীদ (৩০৬ ভোট), ৭নং ওয়ার্ডে মিজানুর রহমান (১৪১ ভোট), ৮নং ওয়ার্ডে শামসুল আলম, ৯নং ওয়ার্ডে শেখ শওকাত আলী (৩৩৯ ভোট), ১০নং ওয়ার্ডে এসএম সায়েম মিয়া (১৫৮৯ ভোট), মো. জামাল (৪১০ ভোট) ও শেখ খায়রুজ্জামান (১৫১৩ ভোট), ১১নং ওয়ার্ডে কাজী নেয়ামুল হক মিঠু (৩৩১ ভোট) ও মো. মোস্তফা হাওলাদার (২৪৯ ভোট), ১২নং ওয়ার্ডে এইচএম আবু সালেক (৬৭৫ ভোট), মো. আজমল হোসেন (২২২ ভোট) ও মো. শাহাবুদ্দিন (২১১ ভোট), ১৩নং ওয়ার্ডে মো. ইমতিয়াজ আলী (৩৪৯ ভোট) ও শেখ মোছাদ্দেক আলী (২৩৩ ভোট), ১৪নং ওয়ার্ডে মোল্লা রিজাউল ইসলাম (১১১ ভোট), মো. মনিরুল ইসলাম (৩১২), শেখ গোলাম কিবরিয়া ঈসা (২৮৭), শেখ মশিউর রহমান (২৫৩), শেখ লুৎফর রহমান (৩০৯), ১৫নং ওয়ার্ডে এসএম আবদুর রহমান ডিনো (৬৯৯) ও জিএম কিবরিয়া (৩৮৪), ১৬নং ওয়ার্ডে আতিকুর রহমান (৮৮), মল্লিক আসাদুজ্জামান ও শেখ মারুফ হোসেন (১৩৪৭), ১৮নং ওয়ার্ডে টিএম আরিফ (১৪৪৭), মো. মুকুল শেখ (৪৯৮), রুস্তম আলী হাওলাদার (৯৭) ও শেখ মো. আমিনুল ইসলাম (১৩৫৬), ১৯নং ওয়ার্ডে মো. ফজলুর রহমান (১৭৫), মো. মনিরুল ইসলাম (৯৬১), শেখ মনিরুজ্জামান মনি (৫০২), ২০নং ওয়ার্ডে মো. শাহজাহান, ২১নং ওয়ার্ডে এসএম শামিমুর আলম (২৪০) ও মো. মনিরুল ইসলাম (২৪৭), ২২নং ওয়ার্ডে মো. ইলিয়াস হোসেন (১০৪), মো. নুর ইসলাম (৩৭৩), ২৩নং ওয়ার্ডে জুনায়েদ চৌধুরী (৩৩), মো. আবু তাহের (৯১), মো. ছাব্বির হোসেন (৮৩৩), ২৪নং ওয়ার্ডে এসএম খায়রুল বাশার (৭৪), মো. আসাদুজ্জামান (১৭১), শেখ মো. নাছির (৩৫৮), সাইদুর রহমান (৯৭), ২৫নং ওয়ার্ডে মো. ইমরান হোসেন (৩৫৮), শেখ শহিদ আলী (৩৩), ২৬নং ওয়ার্ডে এসএম মনিরুল ইসলাম (৭১৫), মো. মাহমুদ আলম (৮৮৬), শেখ আবদুল আজিজ (৯৮৮), ২৭নং ওয়ার্ডে মো. সাইফুল ইসলাম মোল্লা (২৯৭), মো. সুমন (২২৭), ২৮নং ওয়ার্ডে শেখ ফজলুল করিম (৩৩৯), ২৯নং ওয়ার্ডে মো. রুহুল আমিন, ৩১নং ওয়ার্ডে মো. ইউসুফ আলী, জিএম আ. রব, মো. আলী আজম, মো. আসলাম হোসেন, মো. গোলাম মোস্তফা এবং মো. জাহিদ ও মো. শরিফুল ইসলাম।
প্রতিনিধি/ এজে