চাকরি স্থায়ীকরণ ও বেতন-ভাতা আদায়ের দাবিতে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আউটসোসিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীরা কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন। চিকিৎসকদের রুমে তালবদ্ধ করে চলে তাদের কর্মবিরতি।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী এই পালিত হয়। এর আগে, সকাল ১০টা থেকে সকল কাজ বন্ধ রেখে এবং ডাক্তারদের রুমে তালা দিয়ে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
বিজ্ঞাপন
কর্মচারীরা জানান, হাসপাতালটিতে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ১৭ হাজার ৫শ টাকায় চুক্তিতে তিন বছর আগে আয়া, সুইপারসহ প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রথম এক বছর তাদের বেতন দেওয়া হলেও পরবর্তীতে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা সৃস্টি হয়। তাদের কাগজপত্র নেওয়া হলেও চাকরি স্থায়ীকরণ করা হয়নি। আর গত এক বছর ধরে তারা কোনো বেতন-ভাতা পাননি। গত এক বছর ধরে তিনি ও সহকর্মীরা কাজ করেও কোনো বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। এতে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের।
তারা বলেন, আমরা কতদিন ধরে এইভাবে কাজ করব। আমাদের তো সংসার আছে। বেতন ভাতা না পাওয়ায় আমরা পরিবার নিয়ে অনাহারে ও অর্ধাহারে জীবনযাপন করছি। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেননি। অবিলম্বে তাদের বেতনভাতা দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিশোধের জন্য জোর দাবি জানান। তা নাহলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কর্মচারীরা।
এদিকে কর্মচারীদের এমন কর্মসূচিতে চরম দুর্ভোগে পেড়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা। চিকিৎসকের রুম তালাবদ্ধ থাকায় ঘন্টার পর ঘণ্টার অপেক্ষা করতে হতে হয়েছে রোগীদের। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রতাহার করেন তারা।
এ বিষয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. ওমর ফারুক মীর বলেন, 'কর্মচারিরা তাদের কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে কর্মবিরতি করছেন। বিষয়টা নিয়ে আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। আশা করছি বিষয়টা সমাধান হবে।'
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এজে