আজ ১৩ এপ্রিল, চারঘাট গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় চালানো হয় গণহত্যা। পাক বাহিনীর গুলিতে ওইদিনই প্রাণ হারান প্রায় ২০০ মানুষ।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রোববার (১৩ এপ্রিল) দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, ১৯৭১ সালে ১৩ এপ্রিল সকালে চারঘাট উপজেলার থানাপাড়া, বাবুপাড়া, কুঠিপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার ২০০ মানুষকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। মোক্তারপুর ট্র্যাফিক মোড় ও সারদা বাজারে তাদের আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেন বাঙালি বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় সেখানেও গোলাগুলি হয়। নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা পুলিশ একাডেমির কাছে পদ্মা নদীর তীরে আশ্রয় নেন। তবে ব্রাশফায়ার শুরু করে পাক বাহিনী। হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করে তারা। সেই নারকীয় হত্যাযজ্ঞে নিহত হন ২০০ জন নিরীহ বাঙালি।
এ ব্যাপারে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জান্নাতুল ফেরদৌস ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘১৩ এপ্রিল চারঘাটবাসীর জন্য কষ্টের একটি দিন। নিরীহ বাঙালিদের শহীদ করা হয়েছিল। ১৩ এপ্রিলকে চারঘাট গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তৈরি হয়েছে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ। দিবসটি প্রতি বছরই এই উপজেলায় গুরুত্বের সাথে পালন করা হয়ে থাকে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং শহীদদের স্মরণ করা হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
এদিকে, চারঘাট গণহত্যা দিবস পালনে দিনব্যাপী কর্মসূচি আয়োজন করে থাকে থানাপাড়া সোয়ালোজ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এবছরও প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগে কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শোক র্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
চারঘাটের থানাপাড়া সোয়ালোজ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির জেনারেল ম্যানেজার মাইনুল হক সান্টু ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘১৩ এপ্রিল ভয়াল একটি দিন। এ দিনের কথা মনে পড়লে আঁতকে উঠতে হয়। প্রতিবছর ১৩ এপ্রিল আমাদের প্রতিষ্ঠান সাধারণ ছুটি থাকে। দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজন করে কুরআন খতম ও মিলাদ মাহফিল করা হয়। এছাড়া যারা ওই সময়ে প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন, তাদেরকে আমাদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে এনে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় হয়। এ বছরও দিবসটি আমরা যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছি।
প্রতিনিধি/এসএস