সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

ট্রফি ভাঙায় আলিকদমের ইউএনওকে প্রত্যাহারে আলটিমেটাম

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:২৪ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

স্থানীয় একটি টুর্নামেন্টের ট্রফি ভেঙে ফেলার অভিযোগে বান্দরবানের আলিকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মেহরুবা ইসলামকে প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাকে প্রত্যাহারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন স্থানীয়রা।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটায় আলিকদম পানবাজার চত্বরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।


বিজ্ঞাপন


গতকাল শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) চৈক্ষ্যং ইউনিয়নে রেফারফাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজের উদ্যোগে জুনিয়র একাদশ বনাম রেপারপাড়া বাজার একাদশ ফুটবল টিমের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আলিকদম ইউএনও মেহরুবা ইসলাম ফুটবলের ট্রফি ভেঙে ফেলেন।

সমাবেশে বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি ও আলিকদম বিএনপির সাবেক সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম। তিনি জানান, সেই ফুটবল খেলায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে প্রধান অতিথি হয়ে ফাইনাল খেলায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল। তিনি যখন জানলেন ইউএনও প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন তখন উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি অনুষ্ঠানে যাননি। তিনি ইউএনওকে জনগণের অর্থ আত্মসাৎকারী, জনগণের ক্ষতিগ্রস্তকারী হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, সরকার যদি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আলিকদম উপজেলা থেকে ইউএনওকে প্রত্যাহার না করে তাহলে আলিকদম অচল করে দেওয়া হবে।

চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন জানান, গত শুক্রবার ফুটবল খেলায় তিনিও দর্শক সারিতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, দুই দলের খেলা সুন্দরভাবে শেষ হয়েছিল। দর্শক সারি থেকে এক ব্যক্তি বিরূপ মন্তব্য করার কারণে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

এদিকে আলিকদম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য দুংড়ি মং মারমা জানান, আলিকদম ইউএনও আলিকদমে যোগদানের পর থেকে চোরাই পথে মিয়ানমারের অবৈধ গরু ব্যবসায়ীদের গরু আটক করেছেন এবং ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন। এতে তিনি চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের রোষানলে পড়েছেন। এটা অবৈধ চোরাকারবারি ব্যবসায়ীদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মেহেরুবা ইসলাম মোবাইলফোনে ঢাকা মেইলকে বলেন, খেলা শেষ হওয়ার পর থেকে কিছু লোক হট্টগোল করছিল। কিছুটা শান্ত হয়ে পুরস্কার বিতরণের মঞ্চে হঠাৎ এসে একজন বললেন, তিন গোল চার গোল তারা মানে না। আবার টাইব্রেকার দিতে হবে। কিন্তু আবাসিক একাদশ তা মানতে নারাজ। এনিয়ে ঝগড়া লেগে যায় দুই পক্ষের মধ্যে। শান্ত করতে দীর্ঘ সময় কথা বলেছি। পরে তাদের সম্মতিতেই ট্রফি ভাঙা হয়েছে। ট্রফি ভাঙার পরও খেলোয়াড়রা মেডেল গ্রহণ করেছে। ট্রফি ছুড়ে ফেলার পরও আরও অনেক কথা বলেছি। কই সেই ভিডিও কেউ প্রকাশ করেনি। কিন্তু পুরো ভিডিও বাদ দিয়ে আংশিক ভিডিও প্রচার করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি এ ঘটনাকে দুঃখজনক মন্তব্য করে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

প্রতিনিধি/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন