১৫ দিন আগে গাইবান্ধার হাট-বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ৭০ টাকা দামে। সেটি ধীরে ধীরে বেড়ে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে করে বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষ।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) গাইবান্ধার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৮০ থেকে ১৯০ দামে বিক্রি হচ্ছে। এ সময় দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে বিক্রেতার সঙ্গে ক্রেতাদের তর্ক-বিতর্কও দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, খরিপ-১ মৌসুমের কাঁচা মরিচ আবাদ করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণত এ সময়টা আবহাওয়ার বিরূপ আচরণ সৃষ্টি হয়। গত ১৫ দিন আগ পর্যন্ত ক্ষেত থেকে অধিক পরিমাণ মরিচ উৎপাদন করছিলেন কৃষকরা। যার ফলে স্থানীয় বাজারে চাহিদা কম থাকায় ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছিলেন তারা। কিন্তু সম্প্রতি অতিখরা ও মাঝে মধ্যে অতিবর্ষণের কারণে উৎপাদন কমে গেছে। যার ফলে চাহিদা বেশি হওয়ায় দাম বেড়েছে প্রায় তিনগুণ।
পলাশবাড়ী এলাকার কৃষক ময়েন উদ্দিন ব্যাপারী জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে মরিচ আবাদ করেছেন। সম্প্রতি বিরূপ আবহাওয়ার কারণে গত ১৫ দিনের তুলনা উৎপাদন কমেছে অর্ধেকে। এমতাবস্থায় স্থানীয়ভাবে চাহিদা বেশি থাকায় পাইকারি দরে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি।
লাল মিয়া নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, আড়তে বেশি দাম দিয়ে কাঁচা মরিচ কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। আর দাম বেশি হওয়ায় গ্রাহকদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক বাঁধছে।
সাদুল্লাপুর বাজারে মরিচ কিনতে আসা মাসুদ মিয়া নামের এক চা বিক্রিতা বলেন, একদিকে রাত ৮টায় দোকানপাট বন্ধ করতে হয়। অন্যদিকে কাঁচা মরিচসহ বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। এমন পরিস্থিতির কারণে ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে।
বিজ্ঞাপন
গোবিন্দগঞ্জের আব্দুস সোবহান নামের এক শিক্ষক জানান, গাইবান্ধা জেলায় মরচিসহ প্রচুর শাক-সবজি উৎপাদন হয়। এসব সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার না থাকায় কৃষক-ক্রেতা উভয়ে ক্ষতির শিকার হচ্ছে।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বেলাল উদ্দিন বলেন, চলতি খরিপ-১ মৌসুমে জেলার ৭ উপজেলায় ৭০৫ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচ রয়েছে। মূলত, এ মৌসুমে মরিচ উৎপাদন কমই হয়। যার ফলে খুচরা বাজারে দাম উঠা-নামা হয়ে থাকে।
প্রতিনিধি/এইচই