রংপুরে বিয়ের ৬ মাস যেতে না যেতেই যৌতুকের কারণে বিথি নামের এক গৃহবধুকে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্বামী লিটনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের সোটাপীর গ্রামে ঘটেছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
মামলা ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের সোটাপীর গ্রামের এন্দাদুলের ছেলে লিটন মিয়ার সাথে ছয় মাস আগে বিয়ে হয় বিথী আক্তার বৃষ্টির। বিয়ের সময় ৫০ হাজার টাকা যৌতুক নিলেও কয়েক দিন যেতে না যেতে শুরু হয় বেশি দামি মোটরসাইকেল কেনার বাহানা। সেই মোটরসাইকেল কেনার টাকার দাবিতে লিটন প্রায় সময় বিথী আক্তার বৃষ্টিকে মারধর করতেন। লিটন মিয়া স্ত্রীসহ সোটাপীর নিজ বাড়িতে থাকতেন। সোমবার সন্ধ্যার দিকে যৌতুকের টাকা নিয়ে ঝগড়া হয় তাদের মধ্যে। মঙ্গলবার সকালে পাষণ্ড স্বামী লিটন মিয়া নববধু বিথী আক্তার বৃষ্টিকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে নিজ ঘরের তীরের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় রেখে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। পাশের বাড়ির লোকজন ঘরের দরজায় তালা থাকায় ঘরের জানালা দিয়ে বিথী আক্তার বৃষ্টির ঝুলন্ত লাশ দেখে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা বৃষ্টির পরিবারকে খবর দেয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে লাশ নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
বিথী আক্তার বৃষ্টির বাবা-মায়ের দাবি যৌতুক না পেয়ে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি ওদের কঠিন শাস্তি চাই। যেন যৌতুকের জন্য এমন জঘন্য ঘটনা কেউ কখনও ঘটাতে সাহস না পায়।
বদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান ঢাকামেইলকে জানান, থানায় মামলা হয়েছে, আমরা আসামিদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছি। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এজে