রোববার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

নোয়াখালীতে সাক্ষ্য দিতে এসে তোপের মুখে এসআই লিটন

জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী
প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩৩ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img
তোপের মুখে পড়েন পুলিশ কর্মকর্তা। ছবি: ঢাকা মেইল

নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার সাক্ষ্য দিতে এসে যুবদলের নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ঢাকায় কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিটন দত্ত। এসময় লোকজন তাকে দীর্ঘ সময় ধরে অবরুদ্ধ করে রাখে।

রোববার (২২ মার্চ) বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।


বিজ্ঞাপন


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অবরুদ্ধ এসআই লিটন দত্ত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানায় কর্মরত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে অন্যত্র বদলি হওয়ার পরও তিনি পুনরায় সুধারাম মডেল থানায় যোগদান করেন। সেখানে কর্মরত অবস্থায় বিএনপি-জামায়তের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজনকে বিনা কারণে দমন নিপীড়ন, নির্যাতন ও হয়রানি করেন।

নোয়াখালী শহর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল খায়ের সোহেল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এসআই লিটন দত্ত সুধারাম মডেল থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সে সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন তিনি। এওজবালিয়া ইউনিয়নের একটি হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলায় তাদের নাম না থাকা সত্ত্বেও অজ্ঞাত আসামি হিসেবে দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেন লিটন। বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে ক্রসফায়ার দেওয়ার জন্য নিয়ে গিয়ে অর্থ আদায় করে নিয়েছিলেন। লিটন দত্ত তাদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার পরও হয়রানি বন্ধ করেননি। তার ভয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেনি কেউ। দলীয় লোকজন ছাড়াও তিনি সাধারণ নারী পুরুষদেরও হয়রানি করতেন। বাসা-বাড়িতে তল্লাশির নামে লুটপাট করতেন লিটন।

যুবদল নেতা জানান, সোর্সের মাধ্যমে তারা জানতে পারেন লিটন ঢাকা থেকে আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসছেন। পরে আদালত থেকে বের হলে কাদির হানিফ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি এ.এইচ বাহাদুর, শহর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান আনাজ, যুবদল নেতা মুরাদ, কোরবানসহ স্থানীয়দের নিয়ে তার গতিরোধ করেন। লিটন দত্তের কাছে তাদের অর্থ ফেরত এবং মিথ্যা মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তালবাহানা শুরু করেন। এসময় লোকজন ও নেতাকর্মীরা তার ওপর চড়াও হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাকে নিয়ে যায়।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, আমার খবর পেয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার পর লিটন দত্ত তার কর্মস্থলে ফিরে গেছেন।


বিজ্ঞাপন


প্রতিনিধি/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন