নড়াইলের কালিয়া থানায় দায়ের করা অপহরণ মামলার ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিজের বাড়িতে রাখা এবং তাকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে কালিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আশিকুজ্জামানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী অষ্টম শ্রেণির ওই মাদরাসার ছাত্রী নড়াইলের কালিয়া আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা চৌধুরীর কাছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
ভুক্তভোগী ওই মাদরাসা ছাত্রী ও তার পরিবার অভিযোগ করেন, কালিয়া থানার অষ্টম শ্রেণির ওই মাদরাসাছাত্রী গত (২৭ অক্টোবর) অপহরণ হয়।
এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে মো. মানিক হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওই দিনই কালিয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশিকুজ্জামান গত (৫ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার সাভারের আশুলিয়া থেকে মামলার ভুক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধার করে ওই দিনই নিজের বাড়ি গোপালগঞ্জে নিয়ে রাখেন। একরাত একদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভুক্তভোগীকে তার বাড়িতে রেখে শ্লীলতাহানি করে। এছাড়া তাকে বৃহস্পতিবার বিকেলে উদ্ধার করে গাড়িতে নিয়ে আসার সময় তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় বলেও ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকতা ও অভিযুক্ত কালিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আশিকুজ্জামান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার চাচাতো ভাই মারা যাওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে ভুক্তভোগীকে গাড়িতে রেখে জানাজা শেষ করে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) কালিয়া থানায় চলে আসি। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে তাকে নিয়ে প্রথমে মেডিকেল করানোর জন্য সদর হাসপাতালে যায়। পরে সেখান থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে আসি।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে কালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম এসআই আতিকুজ্জামানকে প্রত্যাহারের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ইতোমধ্যে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তাকে চিঠি দিয়ে দ্রুত পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হবে।
প্রতিনিধি/এসএস