ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল হলেও নেপাল ও ভুটানে পণ্য রফতানিতে কোনো প্রভাব পড়বে না।
২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশ ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা পেয়ে আসছিল। তবে ভারতের কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ড (সিবিআইসি) গতকাল এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ট্রান্সশিপমেন্ট সংক্রান্ত আদেশটি বাতিল করেছে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (৯ এপ্রিল) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, ‘২০২০ সালে তৃতীয় দেশে পণ্য পাঠাতে বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বর্ধিত করা হয়। এর ফলে গত পাঁচ বছরে ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে উল্লেখযোগ্য জট তৈরি হয়, যা ভারতীয় রফতানিকারকদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের মধ্য দিয়ে বিমানবন্দর ও বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।’
আরও পড়ুন—
ভারতের তৈরি পোশাক রফতানিকারক সমিতি (এইপিসি) দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিল। সমিতির চেয়ারম্যান সুধীর সেখড়ি জানান, ‘বাংলাদেশ ও ভারত টেক্সটাইল রফতানিতে প্রতিদ্বন্দ্বী। বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল হলে ভারতীয় বিমানবন্দরগুলোতে ভারতীয় রফতানি পণ্যের জন্য বেশি জায়গা তৈরি হবে।’
এছাড়া, নয়াদিল্লিভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাংক গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের প্রধান অজয় শ্রীবাস্তব জানান, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৯৯৪ সালের সাধারণ শুল্ক ও বাণিজ্য চুক্তির অনুচ্ছেদ ৫ অনুযায়ী, স্থলবেষ্টিত দেশগুলোর পণ্যের অবাধ ট্রানজিট নিশ্চিত করতে বাধ্য সকল সদস্য রাষ্ট্র।
একেবি

