মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর পুত্র ও পিরোজপুর ১ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মাসুদ সাঈদী বলেছেন, আমি ৫ বছর উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। কেউ বলতে পারবে না ১০ টাকার দুর্নীতি করেছি। আমি একটি পরীক্ষা দিয়েছি। আমার কলিজার ভেতরে যে আল্লাহর ভয় ছিল, সেই ভয় আমাকে শিখিয়েছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমাদেরকে এই শিক্ষা দিয়েছে, জনগণ ও রাষ্ট্রের সম্পদ খাওয়া আর জাহান্নামের আগুন খাওয়া সমান কথা।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে পিরোজপুরের নাজিরপুরের জামায়াত ইসলামী শাখার উদ্যোগে ৪ নম্বর দীর্ঘা ইউনিয়নের দক্ষিণ লেবুজিলবুানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কর্মী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা মাহাবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং আল্লামা সাঈদী তারা বাংলাদেশে একটি কল্যাণময় ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে চেয়েছিল এটিই তার অপরাধ। আর এর জন্যই তাকে ১৩ বছর কারাবরণ করতে হয়েছে, শহীদ হয়েছে। তারা ভারতের আগ্রাসী সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে যারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল সেই নেতাদের ভারতের প্রেস্ক্রিপশনে খুনি হাসিনা টার্গেট করে তাদের বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্র, মামলা, হামলা এবং ফাঁসি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এর পরেও ১৭টি বছর জামায়াতের ১ জন নেতাও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। আমরা এ দেশকে ভালোবাসি। এই দেশে ইসলাম কায়েম করব, এই স্বপ্ন বুকে ধারণ করে সব ষড়যন্ত্র, হামলা মামলা সহ্য করে আমরা এ দেশেই রয়ে গেছি কিন্তু ওরা ১৭ মিনিটও টিকতে পারেনি। দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি রেখেই ওরা পালিয়ে গেছে। ১৭ মিনিটের মধ্যেই শেখ হাসিনা তার আন্ডা বাচ্চাসহ পালিয়ে গিয়েছেন। সৎ সাহস থাকলে দেশে থেকে বিচারের মুখোমুখি হতেন। প্রমাণ করতেন তিনি দেশ প্রেমিক কিন্তু তা পারেননি। মুখে বলে শেখের বেটি পালায় না, তাহলে পালাল কে? তাহলে সে শেখের বেটি নয় অন্য কারও...।
১৯৮১ সালে বাংলাদেশে এসেছিল শুধুমাত্র ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য, সে জন্যই আজ দেশকে ধ্বংস করে ভারতে পালিয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ ইসলামিক মূল্যবোধে ইসলামী বিশ্বাসী দলগুলো সব দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি করেছে। যারা ১৭ বছরে এই দেশে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করেছে, ৮০০ এর বেশি মানুষকে গুম করেছে, সেই দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চলতে পারে না। ভারতে থেকে ওই খুনি হাসিনাকে ধরে আনতে হবে। যে ট্রাইব্যুনালে আল্লামা সাঈদীকে ওরা কষ্ট দিয়ে মেরেছে, হাসিনাকেও ওইখানে রাখতে হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদ, নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জহিরুল হক, নাজিরপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা, আব্দুর রাজ্জাক, সেক্রেটারী কাজী মোসলেউদ্দিন, নাজিরপুর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যাড আবু সাঈদ মোল্লা, উপজেলা শিবিরের সভাপতি শেখ আবু হানিফ, সাবেক সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
প্রতিনিধি/এসএস