বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেছেন, শেখ হাসিনা আর শেখ মুজিবুর রহমান জাতিকে বিভক্ত করেছে। হিন্দু এবং মুসলমানকে দ্বিধা বিভক্ত করেছে। অনেক মন্দির ভেঙে ফেলা হয়েছে। অনেক মন্দিরে আগুন দেওয়া হয়েছে। এর সব কিছুর পেছনে ছিল একটি ষড়যন্ত্র। মানুষকে বোঝাতে চেষ্টা করত আওয়ামী লীগ সরকার না থাকলে দেশে হিন্দুরা থাকতে পারবে না।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেছেন, দেশে সংখ্যালঘু বলতে কেউ থাকবে না। সবার পরিচয় হবে বাংলাদেশি।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সনাতন ধর্মালম্বীদের আয়োজিত এক সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা আবার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা ফিরে পেয়েছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পেয়েছি। আমরা হিন্দু-মুসলমান ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারকে সাহায্য সহযোগিতা করে যাব।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে বিশ্বাস করে আগামী নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে। যেখানে মুসলিমদের যে অধিকার থাকবে, হিন্দুদের সেই একই অধিকার থাকবে। বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ও বনে জঙ্গলে থাকা মানুষদের একই অধিকার থাকবে।
এসময় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, এদেশে ভিন্ন মতকে সব সময় দমন করা হয়েছে। যদি এদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার ও সুষ্ঠু তদন্ত হতো এবং সেসব ঘটনার ন্যায্য বিচার হতো। তাহলে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতো না বারবার। এদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে তৈরি করেছেন? স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সব সময় হিন্দুদেরকে ব্যবহার করেছেন। আমি হিন্দু সম্প্রদায়ের হয়েও বিএনপি করি। কারণ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি আদর্শে বিশ্বাস করে। যে আদর্শ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার চেতনায় বিশ্বাসী।
সমাবেশে, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাবীবুর রহমান অপু চাকলাদারের সভাপতিত্বে এবং সদস্য আল ইউসুফ আজাদ চঞ্চল মোল্লা ও এম শুভ আহমেদের যৌথ সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
প্রতিনিধি/এসএস