রোববার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

কাশফুলের শুভ্রতায় সেজেছে ঋতুর রানী শরৎ

জেলা প্রতিনিধি, দিনাজপুর
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০১ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

শরতের রঙে প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ সাজে সজ্জিত হয়ে উঠেছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পথের ধারে ও মাঠে-ঘাটে শোভা পাচ্ছে কাশফুল। শরতের আগমনের বার্তা নিয়ে সাদা কাশফুলে প্রকৃতি সেজেছে তার আপন রূপে। বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে সৌন্দর্য ও প্রশান্তির প্রতীক কাশফুল। ছয় ঋতুর এই দেশে প্রত্যেক ঋতুর রয়েছে আলাদা রূপ ও বৈচিত্র্য। সেটি বহন করে এবারও শরৎ এসেছে।

শরৎকাল বাংলা বর্ষপঞ্জির ভাদ্র ও আশ্বিন মাসব্যাপী কালপর্ব যা বর্ষার পরবর্তী এবং হেমন্তের পূর্ববতী তৃতীয় ঋতু। এ ঋতুকে বাংলার কবি সাহিত্যিক ও সুধীজন ঋতুর রানী বলে অভিহিত করেন। বর্ষার ক্রমাগত বর্ষণ শেষে আগমন ঘটে শরতের। শরতের রূপবৈচিত্র্য উপমাহীন।


বিজ্ঞাপন


শ্রাবণ শেষে বিরামহীন বাদলের সমাপ্তি ঘটলেই প্রকৃতি নতুন রূপে সজ্জিত হয়। এসময় আকাশ বুকে ভেসে চলে শুভ্র মেঘ। সূর্যের কিরণ হয় দীপ্তোজ্জ্বল আর বাতাস হয় অমলিন। শরৎকে ইংরেজিতে ‘অটাম’ বলা হলেও উত্তর আমেরিকায় একে ‘ফল’ হিসেবে ডাকা হয়। পৃথিবীর ৪টি প্রধান ঋতুর একটি হচ্ছে শরৎকাল।

sorot_1

ছয় ঋতুর দেশ আমাদের বাংলাদেশ। বাংলাদেশে প্রতি ঋতুরই রয়েছে আলাদা আলাদা পরিচয়। আর ঋতুর পার্থক্য ফুটে ওঠে ফুলে। শরতে সাদা কাশফুল আর শিউলির আধিপত্য ছাড়াও ফোটে আরও অনেক সহচরী ফুল।

তীব্র গরম আর কাঠফাটা রোদে ময়ূরের মতো কাশফুলের পালকের অপরূপ সৌন্দর্য মন জুড়ায় সব বয়সী মানুষের।


বিজ্ঞাপন


sorot_2

উপজেলার পথের ধারে, গ্রাম-গঞ্জের জমির আইলে, পুকুরপারে, নদীর ধারে, মাঠে-ঘাটে শোভা পাচ্ছে কাশফুল। মূলত ছন গোত্রীয় এই ঘাস কমবেশি দেশের সব অঞ্চলেই দেখা যায়। কাশফুল পালকের মতো নরম এবং রং ধবধবে সাদা।

গাছটির চিরল পাতা খুব ধারালো, খসখসে। গ্রাম্য এলাকায় জ্বালানি, ঝাড়ু এবং ঘর ও পানের বরজের ছাউনি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

sorot_3

একসময় বীরগঞ্জ উপজেলার নদীর ধারে কিংবা খালবিলসহ প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জে দেখা যেত কাশফুল। কালের বিবর্তনে এর পরিমাণ অনেক কমে গেছে। উপজেলার শিবরামপুর, পলাশবাড়ী, শতগ্রাম, পাল্টাপুর,  সুজালপুর, নিজপাড়া, মোহাম্মদপুর, ভোগনগর, সাতোর, মোহনপুর, মরিচাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে এখনও দেখা মেলে নান্দনিক সৌন্দর্যের কাশফুল। কাশফুলের গাছগুলো প্রাকৃতিকভাবেই জন্ম হয়। বেড়ে ওঠার সময় চোখে না পড়লেও ফুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ হয়।

sorot_4

উপজেলার ঢেপা নদীর তীরে কাশবাগানে ঘুরতে আসা তামিম আহমেদ বলেন, ‘কাশফুল আমার খুব ভালো লাগে। তাই বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। কিছু কাশফুল তুলে মায়ের জন্য নিয়ে যাব। মা দেখলে খুব খুশি হবেন।’

কাশবাগানে ঘুরতে আসা মো. শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘কাশফুলের সৌন্দর্যে মানুষের মনে প্রশান্তি আসে। আগে অনেক দেখা যেত। বর্তমানে বিলুপ্তির পথে এই গাছ। এর সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।’

sorot_5

কাশবাগানে ঘুরতে আসা রবিউল ইসলাম বলেন, কাশফুল শরতের যেমন প্রকৃতির সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি ঝরে যাওয়ার পর ডগা সংগ্রহ করে ঝাড়ু ও বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র তৈরি করা হয়।

প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন