দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে ১২ বছর বয়সী এক কিশোরীকে বাড়ি থেকে অন্যত্র নিয়ে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে তার বাবাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত ওই কিশোরী বাবার কাছেই থাকবে মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় হিলির খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়নের চৌধুরী ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত রায় এই জরিমানা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আতিয়ার রহমান ওই এলাকার আসাবুদ্দিনের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
ইউএনও অমিত রায় বলেন, হিলির চৌধুরী ডাঙ্গাপাড়া এলাকার ওই ব্যক্তি তার ১২ বছর বয়সী কিশোরী মেয়েকে বরপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে পার্শ্ববর্তী বিরামপুর উপজেলায় নিয়ে সেখানকার ইউনুস আলীর ছেলে আব্দুর রহিম বাদশার সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন। সেখান থেকে আজ ছেলে ও মেয়ে উভয়ই মিলে হিলিতে বাবার বাড়িতে আসে। এ সময় স্থানীয়দের মাধ্যমে সেই খবর পেয়ে বিকেলে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
ইউএনও জানান, ছেলের বয়স ঠিক থাকলেও কনের জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী তার বয়স হয়েছে মাত্র ১২ বছর। মেয়েকে বাল্যবিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বাবা। এই অপরাধে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে জরিমানার টাকা পরিশোধ করলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বরকে আজকেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মেয়ের বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত সংসার করতে স্বামীর বাড়িতে পাঠাবে না মর্মে কনের বাবার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিনিধি/ এজে