চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে চন্দ্রবোড়া (রাসেলস ভাইপার) সাপ পিটিয়ে মেরেছে কৃষকরা।
বুধবার (২৬ জুন) বেলা ১২টার দিকে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের মেদিনীপুর গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের মেদিনীপুর গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল আলিম জানান, কৃষকরা মাঠে কাজ করার সময় সাপটিকে দেখতে পেয়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে সাপটিকে মেরে ফেলে। সাপ মারার খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত উৎসুক জনতা মরা সাপটি দেখতে ভিড় করে।
স্নেক রেস্কিউ টিম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সিদ্দিকুর রহমান রাব্বি মরা সাপটির ছবি দেখে এটা চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার সাপ বলে শনাক্ত করেন। সাপটির আনুমানিক বয়স ৩ থেকে ৪ বছর হতে পারে।
সিদ্দিকুর রহমান রাব্বি বলেন, রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া নিয়ে অনেক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এটা আমাদের দেশীয় সাপ। অনেক আগে থেকেই এই সাপ এদেশে আছে। এরা সাধারণত নিচু ভূমির ঘাসবন, ঝোপজঙ্গল, উন্মুক্ত বন, কৃষি এলাকায় বাস করে এবং মানুষের বসতি এড়িয়ে চলে। তবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে, যেমন অতিরিক্ত গরম অতিরিক্ত শীত থেকে রক্ষা পেতে এরা লোকালয়ের আশপাশে চলে আসে।
এটা মানুষ দেখলে কখনোই তেড়ে আসে না। তবে মানুষ খেয়াল না করে খুব কাছে গেলে সাপটি বিপদ দেখে ভয়ে আক্রমণ করে। রাসেলস ভাইপার দক্ষ সাঁতারু হওয়ায় নদীর স্রোতে ও বন্যার পানিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে। এই সাপের প্রধান খাবার ইঁদুর। ইঁদুর খেয়ে লক্ষ লক্ষ টন ফসল রক্ষা করে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে সব ধরনের সাপই রক্ষা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সাপে কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সময় নষ্ট না করে দ্রুত হাসপাতালে যেয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। হাসপাতালগুলোতে যে অ্যান্টিভেনম আছে সেটা রাসেল ভাইপারসহ সব ধরনের সাপের বিষের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। তাই সাপে কামড়ানোর ১০০ মিনিটের মধ্যে হাসপাতালে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কামড়ানো সাপটি ধরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। উপসর্গ দেখেই চিকিৎসক বুঝতে পারে কোন ধরনের সাপে কামড়িয়েছে। সাপ নিয়ে বর্তমানে অনেক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ জন্য সবাইকে সাবধানতা অবলম্বনের অনুরোধ করা হচ্ছে।
প্রতিনিধি/এসএস