মসজিদের নামে সরকারি বরাদ্দের টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য মো. আলামিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নেছারাবাদ উপজেলার দৈহারী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁটাদৈহারী গ্রামে অবস্থিত জামে মসজিদের নামে ২০২১-২২ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠোমো রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন প্রকল্পে মসজিদ সংস্কার বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ লাখ টাকা। প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০ হাজার টাকা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলামিন হাওলাদার উত্তোলন করলেও নানা অজুহাতে ও ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ স্থানীয়দের।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়দের দাবি, প্রকল্পের টাকা বর্তমান ইউপি সদস্য মো. আলামিন মসজিদ কমিটি কিংবা কোনো মুসল্লিকে না জানিয়ে নিজেই তুলে নেন।
আরও পড়ুন
স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, আলামিন হাওলাদার মসজিদে বরাদ্দকৃত সরকারি টাকা কমিটিতে জমা না দিয়ে আত্মসাতের পাঁয়তারা করছেন। তিনি একাধিকবার উত্তোলনকৃত টাকা দিয়ে কাজ করার কথা বলেও কাজ করছে না। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি টাকা ফেরত দিচ্ছে না এমনকি উন্নয়নমূলক কাজও করছেন না।
এ বিষয়ে কাটাদৈহারী জামে মসজিদের তৎকালীন সভাপতি ও সাবেক মেম্বার মো. মনিরুজ্জামান মনির প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে বলেন, মসজিদ উন্নয়ন ও সংস্কার বাবদ ১ লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছিলেন আলামিন হাওলাদার। প্রাথমিক কাজ সমাপ্ত করে বিল জমা দিলে পরবর্তী ৫০ হাজার টাকা উপজেলা পরিষদ দিয়ে দেয়। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কাজ শুরু করেননি তিনি।
বিজ্ঞাপন
তবে অভিযুক্ত ইউপির সদস্য আলামিন হাওলাদার বলেন, জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া ৫০ হাজার টাকা আমার কাছে আছে। এ মাসেই কাজ শুরু করব। এই টাকা আমি এনেছি। মসজিদ কমিটির কাছে কখনোই জমা দেব না।
কাটাদৈহারী জামে মসজিদের সভাপতি মো. ইমাম হাসান বলেন, ইউপি মেম্বার আমাদের মসজিদ উন্নয়ন ও নির্মাণ প্রকল্পের কথা বলে ৫০ হাজার টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন। তৎকালীন সময়ে আমি সভাপতি ছিলাম না। জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দাকৃত টাকার কাজ একাধিকবার শুরু করার কথা বলেও অদৃশ্য কারণে করছেন না। এমনকি ওই টাকা কমিটির কাছেও হস্তান্তর করছে না।
অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহারুল ইসলাম জানান, সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। তদন্ত করে দেখা হবে।
এসব বিষয়ে জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া খান স্বপন বলেন, প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎসহ সব অভিযোগের বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নেব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অর্থ ফেরতসহ তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিনিধি/এসএস