শরীয়তপুরের নড়িয়াতে বাসস্ট্যান্ড দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় বেশ কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে নড়িয়া পৌর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
আটক ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহে আলম চৌকিদার, নড়িয়া কলেজের সাবেক ভিপি মামুন মোস্তফা ও মাহবুব আলম।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস পরিবহনের নড়িয়া বাস স্ট্যান্ড কাউন্টার পরিচালনা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল মোক্তারের চর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহে আলম চৌকিদার ও ৮ নম্বর ইউপি সদস্য জবেদ আলী শেখের।
এ নিয়ে শনিবার দুপুরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ তৈরি হয়। পরে উভয়পক্ষের সমর্থকরা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিজ্ঞাপন
শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস পরিবহনের নড়িয়া পৌর কাউন্টারের সুপারভাইজার শাহিন বলেন, আমরা প্রতিদিনের মতো যাত্রীদের সেবা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ করেই কে বা কারা এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দুই দিক থেকে আসতে থাকে। ককটেল বিস্ফোরণে সুপার সার্ভিসের স্টাফ জুয়েলসহ কয়েকজন আহত হয়েছে।
ইউপি সদস্য জবেদ আলী শেখ মুঠোফোনে বলেন, আমরা ৮ জন মিলে কাউন্টার এনেছি। এক বছর ধরে আমি কোনো টাকা- পয়সা পাই না। দুপুরে শাহ আলম চৌকিদার ও মোস্তফা শিকদার তাদের লোকজন নিয়ে এসে আমার ওপর আক্রমণ করে আমার বাড়ি ঘরে হামলা চালায়।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর বাস মালিক সমিতির সভাপতি ফারুক আহম্মেদ তালুকদার বলেন, নড়িয়া পৌর বাস স্ট্যান্ডে মারামারি হয়েছে বলে শুনেছি। দোষীদের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবিব বলেন, কাউন্টার পরিচালনা নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রতনিধি/এসএস