রংপুরের তারাগঞ্জে নিখোঁজের তিন দিন পর রিকশাচালক হযরত আলীর (২৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিস্তা সেচ ক্যানেলের পাশের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
হযরত আলী উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সহায় সম্বলহীন হযরত আলী পেশায় রিকশাচালক। তার একার আয়ে স্ত্রী সন্তানসহ পাঁচ সদস্যের সংসার চলে। বৃহস্পতিবার সকালে দুই বছর বয়সী একমাত্র সন্তান সাহাবুল ইসলামকে খাবার কিনে দিয়ে ভাড়ার উদ্দেশে রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন হযরত আলী। ওই দিন রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরের দিন পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
শুক্রবার সকালে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে হযরত আলীর রিকশাটি শেরমস্ত শেরপুর তিস্তা সেচ ক্যানেল এলাকায় পাওয়া যায়। কিন্তু সেখানে হযরত আলীকে পাওয়া যায় না। এরপর পরিবারের লোকজন ওই দিনই তারাগঞ্জ থানা পুলিশকে জানান। পুলিশ ও পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেরমস্ত শেরপুর তিস্তা সেচ ক্যানেলের স্যুইচ গেটের পাশে আফজালুল হকের পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, হযরত আলীর নিখোঁজের বিষয়টি তার পরিবার থানায় জানানোর সঙ্গেই পুলিশ তাকে উদ্ধারে তৎপর ছিল। আশপাশের পুকুরে সার্চ করা হয়েছে। কুর্শা ইউনিয়নের শেরমস্ত শেরপুর মৌজার তিস্তা সেচ ক্যানেলের পাশের একটি পুকুরে তার লাশ ভেসে উঠে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পুকুরে ফেলা হয়েছিল। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এসএস