কঙ্কাল উদ্ধারের ২০ দিন পর মিলল মারিয়ার হত্যার রহস্য। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মাগুরা সদর থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ভোরে শ্রীপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রাম থেকে নবুয়াত আলী (৫০) ও তার ছেলে শশি আহমেদকে (১৯) গ্রেফতার করেছে।
১৭ নভেম্বর এলাকাবাসীর খবরের ভিত্তিতে গাংনালিয়ার এলাকা থেকে একটি কংঙ্কাল উদ্ধার হয়। যার তদন্তে নেমে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে প্রমাণ পায়।
বিজ্ঞাপন
নিহত মারিয়া খাতুন (১৭) সদর উপজেলা নড়িহাটি গ্রামের আছাদুজ্জামানের মেয়ে।
জানা গেছে, কয়েক মাস আগে শশি ও মারিয়া খাতুনের মধ্যে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে এক পর্যায়ে অজ্ঞাত কারণে তাকে হত্যা করে সদর উপজেলার গাংনালিয়া ব্রিজের নিচে কুমার নদীর তীরে তার মরদেহ কচুরিপানার নিচে ফেলে দিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
১৭ নভেম্বর গাংনালিয়ার ওই এলাকা থেকে কংঙ্কালটি উদ্ধার হয়। যার তদন্তে নেমে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে প্রমাণ পায়। পরে মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত ওই দু’জনের জড়িত থাকার তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের গ্রেফতার করে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে তারা সরাসরি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেনি। তবে পুলিশকে শশি জানিয়েছে, মেয়েটির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। শ্বাসকষ্টজনিত রোগের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নদীর তীরে শশি ফেলে রেখে যায়।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতার ব্যক্তিদের বৃস্পতিবার বিকালে আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করবে।
প্রতিনিধি/এসএস
