সরকারি চাল অবৈধভাবে মজুত ও জব্দের আলামত নষ্টের চেষ্টার ঘটনায় শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জের সাবেক উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক। এর আগে তাকে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে বদলি করা হয়েছিল।
আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক বুধবার (২২ নভেম্বর) আদেশে স্বাক্ষর করলেও বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) আদেশের চিঠি শরীয়তপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে আসে।
বিজ্ঞাপন

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ১১ নভেম্বর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজির তিন বস্তা ও ৫০ কেজির ১০ বস্তাসহ মোট ১৩ বস্তা চাল এবং এক হাজার ১০০টি খালি চালের বস্তা অবৈধভাবে মজুত রাখার দায়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল মাহমুদের বাসভবনটি সিলগালা করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ ঘটনার পরদিন ১২ নভেম্বর সন্ধ্যায় সেই সিলগালা বাসভবনের জানালার গ্রিল কেটে মালামাল সরানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন ইকবাল মাহমুদ।

পরে তাকে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মোশারফ হোসেনের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনা তদন্তে শরীয়তপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ নভেম্বর ইকবাল মাহমুদকে রাজবাড়ীর পাংশায় বদলি করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে শরীয়তপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোশারফ হোসেন বলেন, ভেদরগঞ্জের খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছিল তা তদন্ত করা হয়েছে। তিনি সরকারি চাল অবৈধভাবে মজুত করেছিলেন। তদন্ত প্রতিবেদন বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রতিনিধি/এমএইচএম