মানিকছড়ি উপজেলার খাড়িছড়া এলাকা থেকে গত ৫ এপ্রিল অপহৃত ব্যবসায়ী মো. আবদুল কাদেরকে উদ্ধারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
বুধবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১২টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ মানিকছড়ি উপজেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবাদ সমাবেশে নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী মো. মজিবুর রহমান বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রাদায়িক সোনার বাংলাকে আজ পাহাড়িরা সাম্প্রাদায়িক রাষ্ট্র বানাতে চায়। এখানকার সাধারণ ও শান্তিপ্রিয় জনগোষ্ঠীকে পাহাড়ী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অস্ত্রেরমুখে গুম, খুন, অপহরণ ও চাঁদাবাজি করে আধুনিক অস্ত্র-শস্ত্রে আজ তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। যা আর হতে দেওয়া যাবে না। এখন থেকে ওই সন্ত্রাসীদের সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দালন গড়ে তুলতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাদেরকে মুক্তি না দিয়ে পাহাড়কে অচল করে দিতে আবারও রাজপথে আসবে শান্তিপ্রিয় বাঙ্গালী ও নিরীহ পাহাড়ী জনগোষ্ঠীরা।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করে নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
খাগড়াছড়ি চট্টগ্রাম সড়কের মহামুনি বাসস্ট্রেশন এলাকা থেকে নাগরিক পরিষদ, ছাত্র পরিষদ, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ সহকারে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে আমতলা এসে শেষ হয়। খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কে পাশে সোয়া এক ঘণ্টাব্যাপি প্রতিবাদ সমাবেশের সভাপতিত্ব মো. লোকমান হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- খাগড়াছড়ি জেলা নাগরিক পরিষদের সহ-সভাপতি মো.দ মোকতাদের হোসেন। জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবীর, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আনিসুজ্জামান ডালিম, উপজেলা কমিটির সভাপতি মোঃ সাহাব উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক মো. কাওসার হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল রাতে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের খাড়িছড়া এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. আবদুল কাদের নিখোঁজ হয়। পরে তাকে অপহরণের কিছু নমুনাসহ তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেল একটি মন্দির সংলগ্ন জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। অপহরণের এক পক্ষকালেও আবদুল কাদেরকে মুক্তি না দেওয়ায় তাঁর ২ ছেলে, ১ কন্যা, স্ত্রী, ভাই-বোন সকলে এখন শোকে কাতর।
বিজ্ঞাপন
এজে