নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে শুরু হয়েছে শীতকালীন ফুটবল দলবদল। বড়ো তারকাদের কে কোথায় যাচ্ছেন, কার দাম কত বাড়লো বা কমলো, সেদিকেই এখন সবার চোখ। পিএসজিতে থাকাকালীন গত বছরের মার্চে চোটে পড়েন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। মৌসুম শেষে পাড়ি জমান সৌদি ক্লাব আল-হিলালে। ৯০ মিলিয়ন ইউরোতে আল-হিলালে যোগ দিয়ে ফের চোটে পড়েন। এমনকি এ বছরের কোপা আমেরিকায় ব্রাজিলের হয়ে তার খেলা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। চোট, ক্লাবের সঙ্গে দ্বন্দ্ব, নতুন ক্লাবে গিয়ে ফের চোটে পড়া নেইমার ভুলে যেতে চাইবেন বিদায়ী বছরটা।
তবে সেলেসাও তারকার এসবের প্রভাব পড়েছে দলবদলের বাজারেও। ট্রান্সফার মার্কেটের হিসাবে ব্রাজিল সুপারস্টারের দাম তিন কোটি ইউরো কমে চার কোটি ৫০ লাখ ইউরো হয়েছে। দাম কমার তালিকায় আটে অবস্থান করছেন ব্রাজিলের পোষ্টার বয়। দলবদলে দাম কমার তালিকায় শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে ব্রাজিলিয়ান পোষ্টার বয়। তার অবস্থান জায়গা আটে, এছাড়া ট্রান্সফার মার্কেটের দেওয়া এই তালিকায় সবার ওপরে থাকা নামটিও একজন ব্রাজিলিয়ানের। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের উইঙ্গার আন্তোনি আছেন সবার ওপরে। এ তালিকায় অন্যদের মধ্যে আছেন সাদিও মানে, জ্যাডন সানচো, ম্যাসন মাউন্ট এবং জোয়াও কানসেলোও।
বিজ্ঞাপন
দারুণ সম্ভাবনা নিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যাত্রা শুরু করেন আন্তোনি। আয়াক্স থেকে ‘রেড ডেভিল’রা তাকে কেনে ৯ কোটি ৫০ লাখ ইউরোতে। কিন্তু যে প্রত্যাশা নিয়ে তাকে কেনা হয়েছে, আন্তোনি তা পূরণ করতে পেরেছেন সামান্যই। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ইউনাইটেডের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২১ ম্যাচ খেলে গোল কিংবা অ্যাসিস্ট কোনোটাই নেই তার। যার প্রভাব পড়েছে ইউনাইটেডের পারফরম্যান্সে, এমনকি তার দামেও। ২০২৩ সালে দাম কমায় সবার ওপরে আছেন এই ব্রাজিলিয়ান। ৪ কোটি ইউরো কমার পর তার বর্তমান দাম ৩ কোটি ৫০ লাখ।
আন্তোনির পর তালিকার দুইয়ে আছেন সাদিও মানে। লিভারপুলের হয়ে দারুণ সময় পার করে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে বায়ার্ন মিউনিখে গিয়েছিলেন মানে। কিন্তু বায়ার্নে পুরোপুরি ব্যর্থ হন এই ফরোয়ার্ড। এক মৌসুম পর পাড়ি জমান সৌদি ক্লাব আল নাসেরে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে জুটি গড়ে এখন নিয়মিতই পারফর্ম করছেন মানে। এ মৌসুমে ২৬ ম্যাচে ১২ গোল ৬টিতে সহায়তা করেছেন মানে। এছাড়া অন্যদের মধ্যে ইউনাইটেডের ম্যাসন মাউন্টের দাম ৩ কোটি ইউরো কমে এখন ৪ কোটি ৫০ লাখ। আর বার্সা তারকা কানসেলোর দাম ৩ কোটি ইউরো কমে এখন ৪ কোটি ইউরো।