গোসল ফরজ অবস্থায় কোরআন স্পর্শ করা এবং তেলাওয়াত করা যাবে না। কেননা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা পূত-পবিত্র তারা ছাড়া অন্য কেউ তা (কোরআন) স্পর্শ করে না।’ (সুরা ওয়াকিয়া: ৭৯) রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন- لَا تَقْرَأِ الحَائِضُ وَلَا الجُنُبُ مِنَ القُرْآنِ شَيْئًا ‘ঋতুবর্তী নারী ও জুনুব ব্যক্তি (যার ওপর গোসল ফরজ) কোরআনের কিছুই পাঠ করবে না। (তিরমিজি: ১৩১, ইবনে মাজাহ: ৫৯৫)
তবে গোসল ফরজ অবস্থায় কোরআন তেলাওয়াত শোনা নিষেধ নয়। হাদিস শরিফে এসেছে, আয়েশা (রা.) বলেন- كان النبي ﷺ يَتَّكِئُ فِي حَجْرِي وَأَنَا حَائِضٌ ثُمَّ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ ‘‘আমার হায়েজ (মাসিক) থাকা অবস্থায় নবী (স.) (কখনও কখনও) আমার কোলে হেলান দিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করতেন।’ (বুখারি: ২৯৭; মুসলিম: ৩০১)
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: গোসল ফরজ অবস্থায় কবর জিয়ারত করা যাবে?
অতএব, অপবিত্র অবস্থায় কোরআন স্পর্শ ও তেলাওয়াত করা নিষেধ হলেও শুনতে কোনো সমস্যা নেই। উল্লেখিত হাদিসই তার প্রমাণ।
উল্লেখ্য, অপবিত্র অবস্থায় দোয়া পাঠ করা যাবে এবং দোয়া হিসেবে বিভিন্ন আয়াতও পাঠ করা যাবে। যেমন আয়াতুল কুরসি। দোয়ার অর্থবহ সুরাও দোয়ার নিয়তে পড়া যাবে। যেমন সুরা নাস ও ফালাক ইত্যাদি দোয়ার নিয়তে পড়া জায়েজ হবে। (ফাতহুল কাদির: ১/১৬৮, রদ্দুল মুহতার: ১/১৭২, আহসানুল ফতোয়া: ২/৭১)