বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে কোনো সংঘাত নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যেও কোনো সংঘাত নেই বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নীলফামারী শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে দলের সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, কেউ কোনো দিনক্ষণ ঠিক করে দেয়নি। না জামায়াত না বিএনপি, না বামপন্থী, না উত্তরপন্থী কিংবা দক্ষিণপন্থী কেউ কোনো দিন বেঁধে দেয়নি। সেক্ষেত্রে জামায়াত, বিএনপি এটি বিভক্ত করার দরকার নেই। সকলে নির্বাচন চাচ্ছে, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে।
দুদু বলেন, সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে, এই দেশে হাজার হাজার মানুষকে গুম খুন নিখোঁজ করা হয়েছে। এই দেশে গণতন্ত্রের প্রত্যাশায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, নব্বয়ের গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। সর্বশেষ এই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে এই দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এ দেশের মানুষ একটু স্বস্তির সাথে বসবাস করতে চায়। শ্রমিক তার অধিকার চায়, সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে বসবাস করতে চায়। সেই প্রত্যাশায় জননেতা তারেক রহমান দলকে পূর্বের মতো সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড় করাতে চান।
দুদু বলেন, সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, যে অধিকার মানুষের ছিল না, ভোট দেওয়ার অধিকার সেই অধিকার যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে দিয়ে দ্রুতই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করবে। এটি আমাদের বর্তমান সরকারের কাছে চাওয়া। সরকারের কাছে আরেকটি চাওয়া দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা, যাতে করে সাধারণ মানুষ স্বাভাবিকভাবে জীবন-যাপন করতে পারে। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। এ বিষয়গুলো আমরা আগেও বলেছি, আবার বলছি, ভবিষ্যতেও এ বিষয়টি মীমাংসা করা যায় কীভাবে বিএনপি সে দায়িত্ব গ্রহণ করতে চায়। এজন্য আমরা রাস্তায় নেমেছিলাম, আমাদের নেতা যেমন বলেছেন, ফয়সালা হবে রাস্তায় তো ফয়সালা হয়েছে রাস্তায়। ভবিষ্যতে যদি গণতন্ত্রের প্রত্যাশা পূরণ না হয় তাহলে সংকট আরও বাড়বে। সেই সংকটকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নির্বাচিত একটি সরকার দরকার।
বিজ্ঞাপন
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকার। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম।
প্রতিনিধি/জেবি