বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করার মতো অপকর্মের সাহস পেত না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল শুধু ফিলিস্তিন নয়, ধীরে ধীরে সারা বিশ্বের মুসলমানদের নিঃশেষ করবে। এরপরও মুসলিম বিশ্বের মোড়লরা চুপ করে রয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে হাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ ও নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিএনপি আয়োজিত র্যালিতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন আব্বাস।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় যেমন জিয়াউর রহমান ভূমিকা রেখেছিলেন, তিনি বেঁচে থাকলে আজ ফিলিস্তিনের পক্ষে কার্যকর উদ্যোগ নিতেন এবং ইসরায়েল এমন সহিংসতা চালানোর সাহস পেত না।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ইসরায়েল ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ওপর নির্যাতন করছে, এক এক করে সকল মুসলমানদের ওপর নির্যাতন করবে, ধ্বংস করার চেষ্টা করবে। আজ যারা বিশ্বের মুসলিম মোড়ল আছে, তারা তাদের রাজত্ব টিকে রাখতে নেতৃত্বে আসছে না, এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে যারা রুখে দাঁড়াচ্ছে না তাদের প্রতি ধ্বংস নেমে আসবে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমরা যদি কার্যকর পদক্ষেপ না নিতে পারি একে একে সকল মুসলিম রাষ্ট্রকে দ্বারা ধ্বংস করবে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশেও মুসলমানদের নির্যাতন করা হচ্ছে। আমরাও প্রতিহত করার চেষ্টা করব।’
বিজ্ঞাপন
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘জাতিসংঘ কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এই অত্যাচার চলবে। ধীরে ধীরে মুসলমানদের ধ্বংস করে দেবে ইসরায়েল।’
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও নির্যাতনের প্রশ্নে মুসলিম বিশ্ব মোড়লদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ইসরায়েলকে পরোক্ষভাবে মদদ দিয়েছিল। এমনি রাষ্ট্র থেকে আড়িপাতার যন্ত্র কিনে এ দেশের বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়েছে।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে নির্যাতিত মানুষের নাম ফিলিস্তিনের জনগণ। মুসলিম বিশ্বের নীরবতার কারণে সারা পৃথিবীতে মুসলিম জনগণ গণহত্যার শিকার হচ্ছে, সেটা আরাকান থেকে ফিলিস্তিন পর্যন্ত সারা বিশ্ব বিস্তৃত।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে র্যালির আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, আব্দুস সালাম পিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, আব্দুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তব্য শেষে একটি র্যালি বের করা হয়। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালিটি শুরু হয়। এতে ঢাকার দুই মহানগরের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল নেতাকর্মী অংশ নেন।
র্যালিটি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ মোড়, মৌচাক ও মগবাজার হয়ে বাংলামোটরে গিয়ে শেষ হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপির নেতাকর্মীরা র্যালিতে হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা, মাথায় ফিতা বাঁধা ও নানা রকম প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড নিয়ে ‘গাজা হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করো’, ‘ফিলিস্তিনের পক্ষে, বর্বরতার বিরুদ্ধে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এমআর