অপরাধ প্রতিরোধে মহানগরীর অলিতে-গলিতে নিয়মিত অন্যান্য টহলের পাশাপাশি মোটরসাইকেল টহল আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশি তৎপরতায় ছিনতাইয়ের ঘটনা এখন অনেকাংশে কমে এসেছে। এটি ধরে রাখতে হবে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাজারবাগস্থ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ডিএমপির পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রমজান শুরু হওয়ার আগে ছিনতাইয়ের যে গতি ছিল পুলিশি তৎপরতায় তা অনেকাংশে কমে এসেছে। এটি ধরে রাখতে হবে। আমি বিশ্বাস করি আপনাদের আন্তরিক চেষ্টা, মেধা ও অফিসার ম্যানেজমেন্টের কারণে এ সফলতা অর্জিত হয়েছে। সহায়ক পুলিশরাও পুলিশের মত গ্রেফতার ক্ষমতা প্রয়োগ করবে। এ ব্যাপারে থানা পুলিশ তাদের সহায়তা করবে। জিডি এন্ট্রি হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ রেসপন্স করবে এবং ঘটনাস্থলের ফ্ল্যাশ রিপোর্ট প্রদান করবে।
এছাড়াও অপরাধ প্রতিরোধে মোটরসাইকেল টহল বাড়ানোর উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, অলিতে-গলিতে মোটরসাইকেল টহল আরও বাড়ানো হবে। গ্রেফতারি পরোয়ানা ও সাজা পরোয়ানা তামিলে জোর দিতে হবে। আসন্ন ঈদে পুলিশের পাশাপাশি মহানগরবাসীকে নিজ নিজ বাসা-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের অধিকতর নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বিগত কয়েকদিনে চিহ্নিত অনেক ছিনতাইকারী গ্রেফতার করা হয়েছে। এজন্য মহানগরীর ছিনতাই পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। ছিনতাইকারীদের কোন পেশা নেই, তাই তারা এরকম অপরাধ করে থাকে। আসন্ন ঈদে গাবতলী, মহাখালী এলাকায় ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম বেশি হতে পারে, এ ব্যাপারে আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ঈদ উপলক্ষে অনেক বাড়ি ও মার্কেট খালি থাকবে। বিভিন্ন মার্কেট বিশেষ করে স্বর্ণের মার্কেট গুলোতে পুলিশের টহল বাড়াতে হবে। চুরির ঘটনা প্রতিরোধে আবাসিক এলাকায় রাত্রিকালীন টহল বাড়াতে হবে।
অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. মাসুদ করিম বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দাবী-দাওয়া নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী রাস্তায় নেমে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এসব বিষয়ে আপনাদের সজাগ থাকতে হবে।
সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন- ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন।
অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্র্যাফিক) মো. সরওয়ার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী; যুগ্ম পুলিশ কমিশনার; উপ-পুলিশ কমিশনার; অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার; সহকারী পুলিশ কমিশনারসহ ডিএমপির সকল থানার অফিসার ইনচার্জরাসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এমআইকে/এমএইচটি