মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে পাঁচ সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছে নগদ ২১ লাখ ৩৯ হাজার ১০০ টাকা, একটি ধারালো চাকু ও একটি স্টিলের ধারালো চেইন (ধারালো দাঁতযুক্ত ও দুই পাশে হাতলবিশিষ্ট) উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন— মায়ানমারের আরাকান রাজ্যের মৃত মৌলভী গোলাম শরীফের ছেলে আতাউল্লাহ (৪৮), আরাকান রাজ্যের মৃত লাল মিয়ার ছেলে মোস্তাক আহাম্মদ (৬৬), ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার আতিকুল ইসলামের ছেলে মনিরুজ্জামান (২৪), মায়ানমারের আরাকান রাজ্যের মৃত আব্দুল আমিনের ছেলে সলিমুল্লাহ (২৭), সলিমুল্লাহর স্ত্রী আসমাউল হোসনা (২৩) ও আরাকান রাজ্যের নুর আলমের ছেলে মো. হাসান (১৫)।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে তাদের আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুদ্দিন কাদেরের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, সোমবার (১৭ মার্চ) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লী আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তাদের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মামলার এজাহারে পুলিশ জানায়, আসামিরা নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহ সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এর আগে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। পুলিশ গোপন সংবাদ পায় যে আসামিরা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে গোপন বৈঠক করছে। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম জানান, রোহিঙ্গা নাগরিকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইয়ুম খান জানান, রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠনের পাঁচ সদস্যসহ ছয় জনকে কোর্টে আনা হয়েছে। আদালত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুটি পৃথক মামলায় দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
প্রতিনিধি/এমএইচটি