জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবিতে আন্দোলনে নামা ইসির কর্মীরা তাদের ‘অপারেশনাল হল্ট’ কর্মসূচি বুধবারের জন্য স্থগিত করেছেন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি স্থগিতের তথ্য জানান বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন। এক্ষেত্রে দ্রুত সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নিলে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন ইসির কর্মীরা।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে মনির হোসেন বলেন, ‘আমাদের দাবি নিয়ে ইসি তৎপর রয়েছে। সরকারের কাছে ও ঐকমত্য কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছে- এনআইডি ইসির অধীনে থাকা উচিত। ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবও আশ্বস্ত করেছে। এজন্য সাধারণের সার্বিক সেবার কথা বিবেচনা করে ও আশ্বাসে বুধবারের ‘অপারেশনাল হল্ট’ কর্মসূচি স্থগিত করেছি আমরা।
নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান জানান, ইসি কর্মীদের দাবি পূরণে প্রক্রিয়া বিলম্বিত আগামীতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
জানা যায়, এনআইডি সেবা স্বাধীনভাবে পরিচালনা করতে ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন’ গঠনের সরকারের উদ্যোগ ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের ‘ন্যাশনাল সিটিজেন ডেটা কমিশন’ নামে স্বতন্ত্র সংবিধি সংস্থার সুপারিশ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এনআইডি সেবা কমিশন থেকে অন্যত্র নেওয়ার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের অফিসের সামনে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচিও পালন করেছে ইসি কর্মীরা। ওই সময় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ বাতিল করে এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুনর্বহাল করার দাবি জানিয়ে আসছে ইসি কর্মীরা। সরকারের দৃশ্যমান অগ্রগতি না পেলে ১৯ মার্চ বুধবার ‘অপারেশনাল হল্ট’ নামে কর্মবিরতি কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
এমএইচএইচ/