বাঙালি রান্নাঘরে থাকা একটি অতি পরিচিত মসলা হলুদ। রোজকার রান্নায় এটি লাগেই। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এই মসলার ভূমিকা কম নয়। শুধু কি তাই? ত্বক আর চুলের জেল্লা বাড়াতেও অনেকে কাঁচা হলুদ খেয়ে থাকেন।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, হলুদে আছে কারকিউমিন নামক অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। এই উপাদানটি শরীরে নানাভাবে উপকারে লাগে। প্রদাহনাশক উপাদানও রয়েছে হলুদে। আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় এর ব্যবহার রয়েছে। সকালে খালি পেটে এক টুকরো কাঁচা হলুদ খেলে মেলে অনেক সুফল। কিন্তু কখনো কি চা বা কফির সঙ্গে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে খেয়েছেন? এতে কী হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
বিজ্ঞাপন
অনেকেই কাঁচা হলুদের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না। পুষ্টিবিদরা বলছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে বেশির ভাগ মানুষই চা, কফি পান করেন। এই ধরনের পানীয়তে কিন্তু কাঁচা হলুদ মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এতে কাঁচা হলুদের গন্ধ অনেকটা কমলেও, গুণ বাড়ে বৈ কমে না।
আরও পড়ুন- ওজন কমাতে যেভাবে হলুদ খাবেন
চা বা কফির সঙ্গে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে খেলে কী হবে?
বিজ্ঞাপন
যারা ত্বক উজ্জ্বল, দাগহীন, পরিষ্কার রাখতে চান তারা নিয়মিত এই হলুদ চা/কফি পান করতে পারেন। এছাড়াও এটি অতিরিক্ত ক্যালরি ধ্বংস করে, শরীরকে ফিট রাখতে সাহায্য করে। অর্থাৎ ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এই পানীয় বেশ কার্যকর। এছাড়াও এটি মানসিক প্রশান্তি বাড়ায়, শরীরের জ্বালাপোড়া, বিষ-ব্যথা দূর করতেও সাহায্য করে।
কীভাবে এই পানীয় তৈরি করবেন?
প্রথমে একটি পাত্রে পরিমাণ মতো পানি ফুটতে দিন। এতে দিন আদা, দারুচিনি, গোলমরিচ, লবঙ্গ, জায়ফল, কাঁচা হলুদ এবং কফি বিনস বা চাপাতা।
আরও পড়ুন- গাঁটের যন্ত্রণা সারাতে যেভাবে হলুদ খাবেন
ভালো করে ফুটিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন। এভাবে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ছেঁকে কাপে ঢেলে গরম গরম পান করুন এই পানীয়। স্বাদ বাড়াতে চাইলে সামান্য মধুও মিশিয়ে নেওয়া যায়।
এনএম