ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় গর্ভধারিণী বৃদ্ধা মাকে মারধরের অভিযোগে ছেলে আরিফুজ্জামান মিঠুকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে ওই মা আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নির্যাতিত বৃদ্ধা মা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের বিলমান্দলা এলাকার মৃত মোবারক হোসেন মাস্টারের স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনায় আলফাডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নির্যাতিত মা মৌলুদা মোবারক (৬৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিত নারীর স্বামী মারা যাওয়ার পর তার স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি তাদের তিন মেয়ে, চার ছেলেসহ তিনি ওয়ারিশ সূত্রে মালিক। কিন্তু তাদের বড় ছেলে আরিফুজ্জামান মিঠু তার বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি অন্য ভাই-বোনকে না দিয়ে নিজের করে নিতে প্রায়ই তার মাকে অত্যাচার-নির্যাতন করেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকালে আরিফুজ্জামান মিঠু তাদের এজমালি জমি চাষ করার প্রস্তুতি নেয়। এতে তার মা আপত্তি জানালে পাষণ্ড ছেলে রাস্তার ওপর ফেলে চড় থাপ্পড় দিয়ে অশালীন ভাষায় গালমন্দ করে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি মেরে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
বিজ্ঞাপন
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৃদ্ধা মা মৌলুদা মোবারক বলেন, আমার বড় ছেলে আরিফুজ্জামান মিঠু অতীতেও জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে কয়েকবার আমাকে ও আমার অন্য ছেলেকে মারধর করে। সে কারণে অকারণে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায়ই আমাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালায়। এ নিয়ে আলফাডাঙ্গা থানা ও ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে তার বিরুদ্ধে আগেও একাধিক মামলা করেছিলাম। পরবর্তীতে মানবিক কারণে সেইসব মামলা মীমাংসা করেছি।
এদিকে নির্যাতিত ওই বৃদ্ধা মায়ের অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. ফরহাদ শেখ অভিযুক্ত আরিফুজ্জামান মিঠুকে গ্রেফতার করে। পরে শুক্রবার সকালে আরিফুজ্জামান মিঠুকে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৫১ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আবু তাহের বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস