দিনাজপুরের বিরলে ধর্মপুর শালবনে আবারও বিলুপ্তপ্রায় এক নীলগাই প্রবেশ করেছে।
শনিবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে সীমান্ত সংলগ্ন ধর্মপুর শালবন ও এর আশেপাশে ছোটাছুটি করতে দেখে স্থানীয়রা। ধর্মপুর সীমান্তের ভারতের কাঁটাতারের বেড়া ডিঙ্গিয়ে আসা প্রায় বিলুপ্ত প্রাণী ধুসর রঙয়ের এই নীলগাইটিকে দেখা যায়।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা ও বনবিভাগ জানায়, বিরল প্রজাতির এই প্রাণীটিকে কামদেবপুর ও ধর্মপুরের স্থানীয় লোকজনের নজরে পড়লে অনেকেই তাড়া করে ধরার চেষ্টা করেন। কখনো শালবনে, কখনো আশপাশের খেতখামারে অস্থিরভাবে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। সঙ্গীদের ছেড়ে কিংবা দলছুট হয়ে পড়ে নীলগাইটি। খবর পেয়ে বিরল বন বিভাগের পক্ষ থেকে নীলগাইটিকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য স্থানীয় লোকজনকে সচেতন করতে ওই এলাকার বিভিন্ন মসজিদের মাইকে প্রচারণা চালানো হয়।
মাইকে বলা হয়েছে, শালবনের আশপাশে একটি নীলগাইকে ঘুরতে দেখা গেছে। এটি একটি শান্ত স্বভাবের বন্য প্রাণী, মানুষের কোনো ক্ষতি করে না। তাই প্রাণীটিকে অহেতুক বিরক্ত করা থেকে বিরত থাকবেন। যদি কেউ প্রাণীটির ক্ষতি করেন, তাহলে পরবর্তী সময়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে স্থানীয় অনেকে জানিয়েছেন, এলাকার কিছু উৎসুক জনতা নীলগাইটিকে সকাল থেকেই ধাওয়া ও তাড়া করে। পরে বিট কমকর্তা মহসীন আলী আসার পর বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আসে।
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধর্মপুর বিট কর্মকর্তা মহসিন আলী জানান, শনিবার সকালে ধর্মপুর ফরেস্ট বিটের কামদেবপুর নামক বন এলাকায় প্রথমে নীলগাইটি স্থানীয়দের নজরে আসে। আমি খবর পেয়ে গার্ডসহ ওই এলাকায় যাই এবং বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নীল গাইটিকে ধাওয়া বা বিরক্ত না করার জন্য জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্থানীয় সকল মসজিদের মাইকে মাইকিং করি। নীল গাইটি বর্তমানে শালবনেই আছে। আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে বিট কর্মকর্তা মহসীন আলী আরও জানান, নীলগাইটিকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি এই প্রাণীটি রক্ষায় সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, গতবছরের ১৬ মার্চ ভারত থেকে আরও একটি নীলগাই ছুটে আসে ধর্মপুর শালবনে। এরপর দিনভর জনতার ধাওয়া খেয়ে প্রাণ হারায় বিলুপ্তপ্রায় নিরীহ এই প্রাণিটি।
টিবি