লন্ডনের সেডনবার্গ শহরে আগুনে পুড়ে নোয়াখালীর মো. মিজানুর রহমান (৪১) নামের এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশিসহ আহত হয়েছেন আরও ২৩ জন। নিহত মিজানুর রহমান মাত্র ১৮দিন আগে জীবিকার সন্ধানে লন্ডনে গিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে লন্ডনের র্যয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বিজ্ঞাপন
নিহত মিজানুর রহমান নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামের আবদুর রব মেম্বারের ছেলে। তিন ভাই তিন বোনের মধ্যে মিজান ছিলেন দ্বিতীয়। এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা তিনি।
নিহতের বাবা আবদুর রব মেম্বার বলেন, মিজানুর রহমান দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন। ২০১৯ সালের প্রথম দিকে দেশে আসে মিজান। এরপর থেকে সে বাড়িতে ছিল। ধারদেনার মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা জোগাড় করে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশ থেকে লন্ডনে যায় সে। লন্ডনের সেডনবার্গ শহরে অন্য বাংলাদেশিদের সঙ্গে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করত সে। গত শনিবার রাতে কাজ শেষে নিজ বাসায় এসে অন্যদের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে সে। রাত ১২টার দিকে বাসায় থাকা একটি মোটরচালিত সাইকেলের ব্যাটারি প্রথমে বিস্ফোরণ হয়। ব্যাটারির আগুন ছড়িয়ে বাসায় থাকা গ্যাস সিলিন্ডারে লাগলে সেটিও বিস্ফোরণ হয়ে পুরে বাসায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ঘরে থাকা মিজানসহ ২৪জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে লন্ডনের র্যয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মারা যান তিনি।
এদিকে মিজানের অকাল মৃত্যুতে তার দেশের বাড়ি সেনবাগে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্বামীকে হারিয়ে পাগল প্রায় স্ত্রী খাদিজা আক্তার খুঁকি। ছেলে ইরফানুর রহমান রাফি ও মেয়ে নুসরাত জাহান সুরাইয়া কেঁদে চোখের পানিতে ভাসছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মিজানুর রহমানের মৃতদেহ দেশে আনার বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন তার পরিবার।
প্রতিনিধি/এসএস