পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদের সেই দোতলা ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও একই সময়ে আরও ৯টি ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বুধবার (১৬ মার্চ) সকালে রেলওয়ের জমিতে থাকা অবৈধ ভবন উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়ে চলে বিকেল পর্যন্ত।
বিজ্ঞাপন
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে এদিন ১০ ভবন ভাঙা হয়।
স্থানীয়রা জানান, নানা বাধা বিপত্তি কাটিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। আবুল কালাম আজাদের দোতলা ভবন ভাঙার মধ্য দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। আজাদ ভাঙ্গুড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বাকি বিল্লাহর ছোট ভাই। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নোটিশ উপেক্ষা করে ভবনটির তৈরি করেন তিনি। এরপর দিনব্যাপী আবদুর রউফ, নুরুজ্জামান, আবুল কাশেম, গোলাম মোস্তফার ভবনসহ আরও কয়েক জন প্রভাবশালীর মোট ১০টি ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মো. নুরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, শুধু ভাঙ্গুড়া উপজেলা সদরেই রেলওয়ের জমিতে ৫০টি অবৈধ ভবন রয়েছে। অভিযানের প্রথম দিন ১০টি ভবন ভাঙা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হবে। একই সঙ্গে দ্বিতীয়বার কেউ রেলওয়ের জমি দখলের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাকশী বিভাগীয় ভূসম্পত্তি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরের ভাঙ্গুড়া ও শরৎনগর বাজারে রেলওয়ের প্রায় ৫০ বিঘা জমি আছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব জমি স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে রেখেছেন। দখল করা ওই জমিতে অবৈধভাবে দোকান, দোতলা ও তিনতলা প্রায় ৫০টি ভবন নির্মাণ করা হয়েছেন। বেশ কয়েক দিন ধরেই রেল কর্তৃপক্ষ এসব ভবন সরিয়ে নিতে নোটিশ দেয়। কিন্তু ভবন মালিকেরা কোনো অবস্থায়ই ভবন ভাঙছিলেন না। ফলে কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে।
বিজ্ঞাপন
টিবি