চাকরিচ্যুতির জেরে চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকার (সিইপিজেড) একটি কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্যবাহী গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন সড়কে আটকা পড়ে। ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ যাত্রী ও কর্মজীবী মানুষ।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে সিইপিজেডের প্রবেশপথের অদূরে বিমানবন্দর অভিমুখী সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। তাদের মধ্যে অনেক নারীও ছিলেন। এরআগে রোববার (৬ এপ্রিল) কারখানায় হামলাও চালায় শ্রমিকরা।
বিজ্ঞাপন
শিল্প পুলিশের চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সোলাইমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সিইপিজেডের ৪ নম্বর রোডের ৩ নম্বর সেক্টরের এক্সেলশিওর সুজ নামক কারখানা ৪০ জন শ্রমিককে চার মাসের বেতনসহ সমস্ত পাওনা পরিশোধ করে ছাঁটাই করে। ওই শ্রমিকরা বিভিন্ন সময়ে কারখানায় কর্মরত অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন।
কিন্তু তারা প্রতিষ্ঠানটিতে তাদের চাকরি বহাল করার দাবি জানিয়ে গন্ডগোল করেছে। ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে খোলার প্রথমদিন শনিবার থেকে কারখানায় বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা। রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুরে কারখানায় হামলাও চালায় তারা। এরপর কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার সকালে শ্রমিকরা এসে কারখানা বন্ধ দেখার পর রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা ইপিজেড মোড়সহ আশপাশের এলাকায় সড়কের উভয়পাশে অবস্থান নিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। যা বিকেল পর্যন্ত ছিল। এসময় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এয়ারপোর্ট রোডে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আটকা পড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্যবাহী বিভিন্ন গাড়ি। ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ যাত্রী ও কর্মজীবী মানুষ।
বিক্ষোভরত কয়েকজন শ্রমিক জানান, মিথ্যা অভিযোগে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এই চাকরিচ্যুতি তারা মানবে না। তাদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। চাকরি ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে কথা বলতে এক্সেলশিওর সুজ কারখানার কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা ব্যস্ততা দেখিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান। ফলে কারখানা কর্তৃপক্ষের কারও সাথে এ বিষয়ে কোনো কথা বলা সম্ভব হয়নি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর জোনের সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসান বলেন, এক্সেলশিওর সুজ কারখানার প্রায় দুই হাজার শ্রমিক সড়কে অবস্থান নিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, পুলিশ, শিল্প পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন।
/এফএ