ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বাওড় ফিরে পাওয়ার দাবিতে ইজারাদারের ওপর হামলা, কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এরপর মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাতেই আহত বাওড় ইজারাদার রঞ্জিত হালদার বাদী হয়ে কোটচাঁদপুর থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের নামে মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামি আলম, ছমির হোসেন ও চান্দাকে আটক করে।
এরপর বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে আসামি আটকের প্রতিবাদে হালদার সম্প্রদায়ের শত শত নারী-পুরুষ কোটচাঁদপুর মডেল থানায় অবস্থান করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় থানা এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
বিজ্ঞাপন
পরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ও সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলীসহ দলটির নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিবেশ শান্ত হয়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে কোটচাঁদপুর উপজেলার জয়দিয়া বাওড় পুনরায় ইজারা না দিয়ে স্থানীয় মৎস্যজীবী হালদার সম্প্রদায়কে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করে লোকজন। ওই বিক্ষোভের একপর্যায়ে গ্রামের আমিনুল মাস্টার ও আলমের নেতৃত্বে বর্তমান ঠিকাদারি সংগঠন রামচন্দ্রপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি কার্যালয়ে হামলা চালায় হালদার সম্প্রদায় এবং বিক্ষোভকারীরা। সে সময় পাঁচটি নৌকাসহ অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। লুটপাট করা হয় মাছের খাবার, ওষুধ ও নগদ টাকা।
ওই সময় বাধা দেওয়ায় সমিতির সভাপতি রঞ্জিত হালদার, ওই অফিসের নিরাপত্তা প্রহরীসহ তিনজনকে পিটিয়ে আহত করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর আহতদের উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
প্রতিনিধি/ এমইউ