রোববার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

মেলা আয়োজন নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের দ্বন্দ্ব, ১৪৪ ধারা জারি

জেলা প্রতিনিধি, নীলফামারী
প্রকাশিত: ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫২ এএম

শেয়ার করুন:

loading/img

নীলফামারীতে মেলা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জলঢাকা উপজেলা শহরে এই কার্যবিধি জারি করা হয়।


বিজ্ঞাপন


জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর ১৪৪ ধারা জারির আবেদন করেন। জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাক্কির আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ১৪৪ জারির আদেশ দেন।

জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জলঢাকা জাতীয়তাবাদী শক্তির ব্যানারে জলঢাকা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ঈদের দিনসহ পাঁচ দিনব্যাপী একটি মেলার আয়োজন করা হয়। মেলাটি জলঢাকা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে হওয়ার কথা ছিল। তবে জলঢাকা উপজেলা বিএনপির বর্তমান সেক্রেটারি মইনুল ইসলাম এই আয়োজন সম্পর্কে অবগত ছিলেন না।

এ নিয়ে তিনি জেলা বিএনপি কমিটির কাছে জানতে চাইলে তাকে জানানো হয়, সবাই মিলে এই আয়োজন করছে। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুন

রংপুরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোয় উপচে পড়া ভিড়

ঈদের আগের দিন রোববার (৩০ মার্চ) আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে মেলা উদযাপন কমিটির ব্যানারে জলঢাকা উপজেলা শহরে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালির পর মইনুল ইসলাম মেলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং অভিযোগ করেন যে, স্থানীয় বিএনপিকে না জানিয়ে কারা এই আয়োজন করছে। একপর্যায়ে তিনি তার অনুসারীদের নিয়ে মেলার গেট ভাঙচুর করেন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপরও ঈদের দিন সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে দু'পক্ষই মেলাকে কেন্দ্র করে পৃথকভাবে মাইকিং করে এবং সকাল ১০টায় বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেয়।

thumbnail_1000102478

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জলঢাকা পৌর এলাকার থানা মোড় এবং পেট্রোল পাম্প এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

এ বিষয়ে জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জায়িদ ইমরুল মোজাক্কির বলেন, জলঢাকা পৌরসভার আওতাধীন জলঢাকা পেট্রোল পাম্প ও জলঢাকা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ এলাকায় একাধিক পক্ষ একাধিক স্থানে ও ভিন্ন ভিন্ন সময়ে সভা-সমাবেশ আহ্বান করেছে। এতে এলাকায় চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

বিএনপির দু’পক্ষের কারও সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন


News Hub