নীলফামারী ০১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকারকে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ভগ্নিপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের গাড়িবহরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মামলায় এবং যুবদল নেতা মাসুদ বিন আমানের দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এ সময় তার ওপর ধুলা–ময়লা ছুড়ে বিক্ষুব্ধ জনতা।
রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুরে আদালতের বিচারক আফতাব উদ্দিন সরকারকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
সাবেক এ সংসদ সদস্যকে আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে এলে তার ওপর চড়াও হন ভুক্তভোগীরা। ডিম নিক্ষেপ করেন সংক্ষুব্ধরা ও গাড়িতে উঠানোর সময় মারধর করা হয় সাবেক এই এমপিকে। অনেকেই তার ফাঁসি দাবি করে আসামিবাহী গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করে তার বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, রংপুরের একটি মামলায় তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। আজ তাকে নীলফামারীর দু’টি (ডোমারের একটি, ডিমলার একটি) মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তবে কোনো রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়নি, পরবর্তীতে আমরা রিমান্ডের জন্য আবেদন করবো।
অভিযোগ আছে, আগুন খাওয়া বাহিনী গঠন করে স্থানীয়দের ওপর নির্যাতন চালাতেন সাবেক এমপি আফতাব উদ্দিন সরকারের পরিবারের সদস্যরা। তার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন উপস্থিত জনসাধারণ। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে ভুয়া ও ভোট চোর বলে স্লোগান দিতে থাকেন উপস্থিত সবাই।
এছাড়াও আফতার উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে নিরীহ মানুষের জমি দখল, ঘর-বাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগে নীলফামারীতে আরও তিনটি মামলা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এমইউ