দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় (বাংলাদেশ,নেপাল, ভারত ও ভূটান) পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে গেল আরও ২১০ মেট্রিক টন আলু। দিন দিন আলু রফতানিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এ বন্দরটি। গতকালের পর আজও প্রতি গাড়িতে ছিল ২১ মেট্রিক টন আলু। পর্যন্ত মোট ১৭৬৪ মেট্রিক টন আলু নেপালে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেলে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ১০টি ট্রাকে আলুগুলো নেপালে যাওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন।
বিজ্ঞাপন
বন্দর সূত্রে জানা যায়, থিংকস টু সাপ্লাই, হোসেন এন্টার প্রাইজ, স্বাধীন এন্টার প্রাইজ নামের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে আলু রফতানি করা হয়।
আলুগুলো রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও, ভুল্লি, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন এলাকার।প্রতি ট্রাকে ২১ টন আলু ছিল৷এ নিয়ে এ বন্দর দিয়ে জানুয়ারি থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত কয়েক দফায় মোট এক হাজার ৭৬৪ মেট্রিক টন আলু বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর হয়ে নেপালে রপ্তানি করা হয়েছে।বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটনের পণ্য, জুস,মোটরসাইকেল ব্যাটারিসহ নানা ধরনের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।
অপরদিকে মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক দানা, রেললাইনের ইস্পাত, খইল, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টাইন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন বলেন,নেপালে ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের আলুর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।কয়েক দফায় ১ হাজার ৭৬৪ মেট্রিকটন আলু নেপালে গেছে।এগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে পাঠানো হয়েছে।এভাবে প্রতিদিন আলু রপ্তানি করতে পারলে কৃষক অনেক উপকৃত হবে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এজে