বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি
প্রকাশিত: ০৮ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৯ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

দেশব্যাপী চলমান ধর্ষণ প্রতিরোধ ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করে নারীসহ জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। পরে সেখান থেকে একটি মিছিল বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড হয়ে ছাত্রীহলগুলো প্রদক্ষিণ করে জোহা চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।


বিজ্ঞাপন


এসময় তারা, ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই; ধর্ষকের ফাঁসি চাই, আমার সোনার বাংলায়; ধর্ষকের ঠাঁই নাই, ইনকিলাব ইনকিলাব; জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, তুমি কে আমি কে; আসিয়া আসিয়া, আমার বোন ধর্ষিত কেন, ইনটিরিম জবাব চাই, গোলামি না আজাদি; আজাদি আজাদি, একটা একটা ধর্ষক ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর বলে স্লোগান দেন।

সমাবেশে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিরা নিশা বলেন, আমরা পুরো বাংলাদেশের নারীরা আজ নিরাপদ না। আমরা যখন টিউশনি করিয়ে আসি তখন নিরাপত্তা পাই না। রিকশাওয়ালা আমাদের টিস করে। আমরা চাই না আর এরকম কিছু হোক। এই সোনার বাংলায় আর কোনো ধর্ষকের ঠাঁই হবে না। দেশে যারা ধর্ষক তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত সরকার তাদেরকে শাস্তি প্রদান করবে।

এসময় ধর্ষকের শাস্তি চেয়ে হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন বলেন, একটা ধর্ষক শুধু দৈহিকভাবে একটা মেয়ের ক্ষতি করে না। যে ধর্ষণ হয় সে তিলে তিলে শেষ হয়ে যায়। আজ আছিয়ার বিষয়ে সবাই জানতে পেরেছে কিন্তু এমন অনেক ধর্ষিতা বোন আছে যারা সম্মানের কথা বা পরিবারের কথা ভেবে কারো কাছে বিচার চাইতে পারে না। একজন ধর্ষিতা নারীর প্রতিটা দিন কত দুর্বিষহ যায় সেটা শুধু সেই জানে। তাই আইন উপদেষ্টাকে বলবো দ্রুত ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করুন নয়তো পদত্যাগ করে শাস্তি দেওয়ার দায়িত্ব জনগণের হাতে দিয়ে দেন। জনগণ প্রকাশ্যে তাদের শাস্তি দিবে।

এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বায়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সব থেকে বেশি জরুরি আমাদের বোনদের নিরাপত্তা। বিভিন্ন নেতারা বলছেন তারা নিরাপত্তা পাচ্ছেন না। আপনারা আগে জনগণের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুন। রাজপথে যখন একজন নারী দাঁড়িয়ে যায়, তখন সে একশত পুরুষের সমান ভূমিকা পালন করে। স্বৈরাচারও একটা নারীর গায়ে হাত দেওয়ার আগে দশবার চিন্তা করে। যেকোনো দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে আমাদের বোনেরা সবসময় একথা মনে রাখে।


বিজ্ঞাপন


বিক্ষোভ মিছিলে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন